ওয়াশিংটন: মহামারীর পর ঘোষিত লক ডাউনের শুরু থেকে চাকুরীজীবীরা একটি শব্দের সঙ্গে বহুল পরিচিত হয়েছে। তা হলো “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”। এখনো অনেক জায়গায় বাড়িতে বসেই সম্পূর্ণ কাজ সারছেন অনেক অফিসের কর্মীরা। কিন্তু এই কালচারের ইতিহাস অনেক আগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। তখন প্রযুক্তি এতটা উন্নত ছিলো না। কিন্তু নিজের কাজ সঠিকভাবে পালনের জন্যে এক কর্মী নিজেই তার বাড়িতে বানান অফিস।
১৮৮০ সালের এই বাড়িটি এক সময়ে বহু ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে চলেছে। এই বাড়ির দেওয়ালগুলো অনেক বন্দীদের আর্তনাদ কান পেতে শুনেছে। বাড়িটির রং সাদা। এই সাদা বাড়িটিকে দূর থেকে দেখলে বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই যে এর ভেতরে এমন কঠিন সময়ের কাহিনী রয়েছে বন্দি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় এটি আর পাঁচটা বাড়ির মতোই। তবে ২০০ বছরের পুরাতন এই বাড়ি এক সময়ে বহু ইতিহাসের সাক্ষী। আমেরিকার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত ভারমন্ট প্রদেশে রয়েছে এই বাড়ি। একজন জেলার থাকতেন এখানে। ১৮৮০ সালের আশেপাশে সময়েই দেখা গিয়েছিলো তাকে। বাড়ির মধ্যে বানানো হয়েছিল জেল যেখানে বন্দীরা থাকত। বাড়িতে থেকেই যাতে বন্দিদের উপর তিনি নজর রাখতে পারেন তাই এই সিদ্ধান্ত। ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার এসেছে সেখান থেকেই। বাড়িতে বসেই তিনি প্রশাসনিক কাজও সারতেন।
আরো পোস্ট- বরফ গলিয়ে মৃতদের সমাধি দিতে হয় এখানে!
বাড়িটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে ডাইনিং রুম, লিভিং রুম, একটি বাথরুম, বেডরুম ও একটি অফিস। তবে বেডরুমটি সুসজ্জিত নয়। বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আবার আছে চারটি বেডরুম, একটি বাথরুম ও লন্ড্রি এরিয়া। এই সমস্তই বন্দিদের সুবিধার্থে বানানো হয়েছিল। নতুন বছর এলেই বাড়িটিকে ভালো করে রং করা হয়। কেউ কেউ আবার বাড়িটিকে “হরর মুভির সেট” বলেন। দুই বছর আগে শেষবার বিক্রি হয়েছিল দুই হাজার ১৯০ স্কোয়্যার ফিটের এই বিশেষ বাড়িটি। ২০১৮ সালে বাড়িটির বিক্রয়মূল্য ছিল ৭৫ হাজার ডলার। ২০১৮ সালের পর আবার বিক্রির জন্য নিলামে উঠেছিল মার্কিন জেলারের এই বাড়িটি। সেইসময় একটি ওয়েবসাইটে বাড়িটির বিক্রয়মূল্য বলা হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.