কলকাতা : বাংলা পক্ষ আসানসোল দক্ষিন শাখার পক্ষ থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হলো। সমস্ত পদে ভূমিসন্তান নিয়োগ, ঠিকা টেন্ডার যাতে ভুমিসন্তানরা পায় এবং দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে থাকা ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি যাতে দ্রুত সক্রিয় করে সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ করা হয় এইগুলি ছিল প্রধান দাবী। এছাড়াও বাংলায় সাইনবোর্ড লেখার দাবীও ছিলো। জেলা হাসপাতালে বহিরাগতদের নিয়োগ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক বেড়েছে ,এই বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা এলাকার বিধায়কের কাছেও ডেপুটেশন দেবে বলে জানিয়েছে তারা।
৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই রাজ্যের যে কোন চাকরিতে! দাবি তুলল বাংলাপক্ষ। বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত কর্মসংস্থানে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবি করে আসছে বাঙালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষ। সমস্ত বেসরকারি চাকরি- ঠিকা কাজ- টেন্ডারে কমপক্ষে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করতে হবে এবং রাজ্য সরকারি চাকরির সমস্ত পরীক্ষায় বাংলা পেপার বাধ্যতামূলক করতে হবে এই দাবিকে সামনে রেখে এবার বৃহত্তর ভাবে আন্দোলনে নামতে চলেছে এই বাঙালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন।
প্রসঙ্গত ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই রাজ্যের যে কোন চাকরিতে এমন দাবি অনেক দিন থেকেই তুলেছে বাংলাপক্ষ। একটি প্রেস বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘বর্তমান ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটা রাজ্যে মূল ইস্যু চাকরি-ঠিকা কাজ- টেন্ডারে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ। করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি ও কাজ সংকুচিত হচ্ছে, তাই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। প্রতিটা রাজ্যই তাদের রাজ্যের ছেলেমেয়ের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের পথে হাঁটছে।’
বাংলায় কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তারা বলেছিল, ‘সমস্ত পরিসংখ্যান বলে বাংলায় চাকরি আছে, বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের নেই। বাংলায় কাজ আছে ভূমিসন্তানদের নেই। বাংলায় ব্যবসা আছে, বাঙালির নেই। বাংলায় চাকরির নানা বিজ্ঞাপনে প্রকাশ্যে বাঙালিকে চাকরিতে না নেওয়ার কথা বলা হয়। বাংলায় বেকারত্ব কম, জিএসটি কালেকশন বেশি। কিন্তু এর সুফল ভূমিপুত্ররা পায় না। বিহার, ইউপি, ঝাড়খন্ড ও অন্যান্য রাজ্যগুলো থেকে লাখে লাখে মানুষ বাংলায় এসে চাকরি-কাজ- এলাকা দখল করছে, বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। অন্যদিকে আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কাজের জন্য বাইরের রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হয়। বাংলার ভূমিপুত্রদের স্বার্থে এরাজ্যে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ সময়ের দাবি, বাস্তবতার দাবি।’ এই দাবি নিয়ে কলকাতার রাস্তাতে বিশাল মিছিল করেছিল এই সংগঠন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.