জলপাইগুড়ি : বিজেপি নেতা-নেতৃদের ড্রাগ ব্যাবসা থেকে নজর ঘোরাতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পিছনে সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে দলীয় কর্মসূচীতে এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুজাতা খাঁ।

তিনি বলেন, “ড্রাগ ব্যাবসায় জড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিজেপির আরপ অনেক রাঘব বোয়াল নেতা। এই আতঙ্কে সিবিআইকে দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ির লোকেদের জ্বালাতন করছে বিজেপি। এটা একধরনের নোংরা ও প্রতিশোধ মূলক রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।”

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে করতে ঠিক এভাষাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি ছেঁড়ে সদ্য ঘাসফুলে যোগ দেওয়া রাজ্য তৃনমূল নেত্রী সুজাতা খাঁ।

এদিন তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় দিদির দূত নিয়ে ক্যাম্পেইন চালান। পরে তিনি চলে আসেন জলপাইগুড়ি শহরে।

এদিন রাজগঞ্জে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্প বিজেপি চুরি করে নাম পালটে চালাচ্ছে। কারন তৃনমুল সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০১১ সালে। আর বিজেপি কেন্দ্রে এসেছে ২০১৪ সালে। আর এসেই এরা রাজ্যের প্রকল্প চুরি করা শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের ‘কন্যাশ্রীকে’ নকল করে তাঁরা বানিয়েছে ‘বেটি বাঁচাও।”

যদিও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা খাঁ’র এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামানিক।

উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সিবিআই-এর জেরা বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আড়ালে আবডালে বলে আসছে, বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে ‘চরম আঘাত’ হানা হবে। গেরুয়া শিবিরের কৌশল অনুযায়ী, একবার নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে পরে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনও কমিশনের আওতায় চলে যাবে।

বিজেপি শিবিরের একাংশের দাবি, কয়লা এবং গরু পাচার কান্ডের তদন্ত যেখানে পৌঁছেছে, সেই সূত্র ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করাটা সহজই হবে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের একাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও যাঁরা সবে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলের দিকে গিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন অভিষেককে জেলে পুরতে পারলেই তৃণমুলের মেরুদন্ড ভেঙে যাবে। ভগ্ন মনোরথ তৃণমুলকে তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত করা বিজেপির পক্ষে সহজ হবে। গেরুয়া শিবিরের একাংশ যেহেতু এই কৌশলের ‘সাফল্য’ নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিন্ত, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পৌঁছে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত সেরে ফেলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।