মুম্বই: নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ল মুম্বইয়ে। আচমকা করোনার গ্রাফ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুম্বই পুলিশ তার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলেছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল এই নির্দেশ জারি করেছেন। মঙ্গলবার সকালের দিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সবাইকে বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলেছিলেন। করোনা সংক্রমণ আচমকা বৃদ্ধি পাওয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই আবেদন করা হয়েছিল। আর বুধবারই মুম্বই পুলিশের তরফে একই নির্দেশিকা জারি হয়।

বর্তমানে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে মুম্বই পুলিশ তাদের দায়িত্বও স্থির করে ফেলেছে। A ও B ক্যাটেগরির অফিসারদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ হেড কোয়ার্টারের C ও D ক্যাটেগরির পুলিশ কর্মীদের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ২৫ শতাংশ C ও D ক্যাটেগরির পুলিশ কর্মীদের কাজের সময় স্থির করা হয়েছে ৯ টা থেকে ৪টে। বাকি ২৫ শতাংশকে ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হবে। স্টেশন হাউজ অফিসারদের প্রয়োজনমাফিক কাজে যোগ দিতে হবে। বাকিদের বাড়ি থেকেই কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। যত বেশি সম্ভভ RT-PCR পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ফলাফল নেতিবাচক এলেও RT-PCR করাতে হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিটি এলাকায় পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের আমরাবতীতে শুরু হয়েছে লকডাউন। করোনা বিধি না মানলে রাজ্যেও লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, অমরাবতী থেকে প্রায় এক হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি একেবারে তৈরি, কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক না পরে, তবে লকডাউন করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক সমস্তা সভা অনলাইনে হবে। পরবর্তী ৮ দিন করোনার বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বোঝা যাবে এটা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কিনা। ঠাকরে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা একটি নতুন ক্যাম্পেন শুরু করছি, ‘I am Responsible’.” উদ্ধব ঠাকরে বলেন, আমি জানি সাধারণ মানুষ এই ধরনের বিধিনিষেধ একেবারেই পছন্দ করে না। কিন্তু তবে এখন আমাদের কিছুটা কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, নীতিন রাউত কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁর ছেলের রিসেপশন পার্টি বাতিল করেছে। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।