আগেই জারি হয়েছিল রেডকর্নার নোটিশ
জানুয়ারিতে বিনয় মিশ্রের একাধিক আস্তানায় তল্লাশি। রাসবিহারী এভিনিউ, লেকটাউন-সহ কলকাতার তিনটি আস্তানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। একাদিক জিনিসও বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লুকআউট নোটিশ জারির পরে সমন পাঠানো হয়েছিল। এরপরেই আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে। এরপর ফেরার ঘোষণা করা হয় তাকে। তারপরেই বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর
এবার বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে। সেখানে সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে এনামুলের টাকা বিনয় মিশ্রের হাত ঘুরে পৌঁছে যেন প্রভাবশালীদের কাছে।
দুবাইতেই রয়েছে বিনয়
সিবিআই-এর অনুমান দুবাইতে রয়েছে গরুপাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনয় মিশ্র। সিবিআই সূত্রের দাবি, বিনয় মিশ্রের কাছে অন্তত তিনটি পাসপোর্ট রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশের পাশাপাশি দুবাইয়ের পাসপোর্ট আছে তার কাছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, বিনয় মিশ্রকে ধরতে পারলে গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচার সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই রেডকর্নার নোটিশ জারি করার পরে ইন্টারপোলের কাছেও তাকে খুঁজে বের করতে আবেদন করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। ফলে যেদেশই বিনয়কে ধরতে পারবে, তখনই তা সিবিআই-এর নাগালে চলে আসবে।
বিনয় মিশ্রের প্রভাবশালী যোগ
সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রুজিরা এবং মেনকার ক্ষেত্রেও বিনয় মিশ্রের যোগ তারা পেয়েছেন। বিনয়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই-এর দাবি, বিদেশের অ্যাকাউন্টে যেমন টাকা দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা ঢেলে কালো টাকাকে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে শুধু সিবিআই নয়, অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফেও বিনয় মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। ইডির তরফে বিনয়ের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ২০১৩ সাল থেকে। তার নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে থেকে বিনয় মিশ্রের নিরাপত্তায় তিনজন কনস্টেবলকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলেও জনসভায় দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কনস্টেবলদের নামও জানিয়েছিলেন তিনি।