নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ স্থির করা নিয়ে আজ ফের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে। কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ৬ হাজার ৪০০ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। করোনাকালে সব ধরনের কোভিড প্রোটোকল মেনে নির্বাচন পরিচালনা করা কমিশনের কাছে এবার মস্ত চ্যালেঞ্জ।

পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরালা ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট আসন্ন। তবে এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিন। ইতিমধ্যেই এই চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঘুরে গিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনাও হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের। বুধবার দিল্লিতে বাংলা-সহ চার রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নিয়ে ফের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কমিশন।

এদিনের বৈঠকে থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে মূলত ওই চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ধরে ধরে স্পর্শকাতর বুথগুলির নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা হবে। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে সিআরপিএফ ও কেন্দ্রের অন্য বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হবে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার পশ্চিমবঙ্গে সাত থেকে আট দফায় নির্বাচন হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ৬ দফায়।

বাংলায় এবার ৬ হাজার ৪০০ বুথকে ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। যা নির্বাচন হতে চলা বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। আসন্ন নির্বাচনে এবার পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বহুগুণে বাড়ানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাংলায় এবার বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯০৩ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০। এদিকে, চলতি সপ্তাহেই ফের কলকাতায় আসছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের এই মর্মে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে সুদীপ জৈন কলকাতায় আসার আগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেই তথ্য খতিয়ে দেখার পরে কলকাতায় এসে তার অগ্রগতি নিয়ে জেলা নির্বাচনী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন জৈন। দিল্লিতে ফিরে গিয়ে সুদীপ জৈন ফের একবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। রাজ্যের নির্বাচনী প্রস্তুতির জেলাভিত্তিক রিপোর্ট দেবেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।