আসনরফা নিয়েই যত গোল কংগ্রেস ও আব্বাসের
বাংলায় বিধানসভা ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যে কোনও দিন ভোট-বাদ্যি বেজে যাবে। তার আগে যত দ্রুত সম্ভব জোট প্রক্রিয়া সেরে পেলতে চাইছে সব পক্ষ। কিন্তু আসনরফা নিয়েই যত গোল বাঁধছে। বামেরা আব্বাসের দলের সঙ্গে সমঝোতা অনেকটা সেরে ফেলেছে। কিন্তু কংগ্রেস আটকে আছে একই জায়াগায়। তাই অবশেষে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকে।
জট কাটাতে তৎপর হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী
আব্বাসের দলকে কোন আসন ছাড়া হবে, তা নিয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। ফলে বিলম্ব হচ্ছে জোট প্রক্রিয়ায়। এই অবস্থায় জট কাটাতে তৎপর হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি দ্রুত জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের।
বাম-কংগ্রেসের মধ্যে এবার কোনও তিক্ততা নেই
বাম-কংগ্রেস আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়তে মনস্থ করেছে। সেই জোটে এখন সামিল হতে চাইছে পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ার সেকুলার ফ্রন্ট। বাম-কংগ্রেসের মধ্যে এবার কোনও তিক্ততা নেই। তিক্ততা আব্বাসের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের। কারণ কংগ্রেস যেখানে শক্তিশালী সেখানেই বেশি আসন চেয়ে বসেছে আব্বাসের আইএসএফ।
কংগ্রেসের জেতা আসন দাবি করেছে আইএসএফ
সিপিএমের সঙ্গে শরিকদের মন কষাকষি হলেও আব্বাসের দলকে বেশ কিছু আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে তারা। কিন্তু কংগ্রেস এই জট কাটাতে পারছে না। কংগ্রেসের জেতা আসন দাবি করেছে আইএসএফ, তা ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। তাই জটিনতা আরও তীব্র আকার নিয়েছে। পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছে উভয়ে।
কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক এখনও অব্যাহত যে সব জেলায়
মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুর। চারটি জেলাতেই কংগ্রেসের দাপট রয়েছে। এই জেলাগুলিতে আব্বাসের দলকে বেশি আসন ছাড়লে সাংগঠনির শক্তি দুর্বল হবে। বিশেষ করে দুই জেলা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক এখনও অব্যাহত। আব্বাসের দলের সঙ্গে ভোটের সমাকরণ তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য মিলতে পারে, তা অবশ্য মানছে কংগ্রেসও।
প্রদেশ কংগ্রেসকে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে নির্দেশ
এই অবস্থায় জোট-জটের বিষয়টি কানে যেতেই তৎপর হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেসকে তৎপর হয়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে তাঁর। তিনি বলেছেন, জোট করতে সবরকমের চেষ্টা চালাতে হবে। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।