চণ্ডীগড়: বুধবার ভোররাতে ধামাকাদার বিস্ফোরণ ঘটল হরিয়ানার কর্ণালে। সেখানকার ঘোঘারিপুর গ্রামের কাছে একটি বাজি কারখানায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত্যু হল তিন শ্রমিকের। এছাড়া গুরুতর অবস্থায় আশঙ্কাজনক রয়েছেন আরও একজন। মৃত ৩ শ্রমিকই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে ঘোঘারিপুর ফটকের কাছেই একটি বাজি কারখানায় গত রাতে এই আগুন লাগে। প্রথমে তা আয়ত্বের মধ্যে থাকলেও বাজি কারখানা হওয়ায় তা মুহূর্তের মধ্যে পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনে সেখানকার চার শ্রমিক ঝলসে যায়। খুব সম্ভবত তাঁরা ভিতরে কাজ করছিল। এরমধ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ও একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভয়াবহ আগুনে কারখানার সমস্ত জিনিসপত্র ও মেশিন পুড়ে গিয়েছে। এমনকি ঘরের দেওয়াল ও সিলিংও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের আগে কারখানায় দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। এরপরেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্থানীয়রাও দমকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ এই মুহুর্তে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মৃতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল তামিলনাডুর বাজির কারখানায়। বিস্ফোরণে ৩৬ জন গুরুতর জখম হয় ও কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরে রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের জন্য তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়। গুরুতর জখম প্রত্যেকের জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়াও বাকি আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী।
বাজি কারখানার নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। এখানে কাজ করা শ্রমিকরা প্রায়ই ভয়াবহ বিস্ফোরণের শিকার হন। তবুও পেটের তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলে কাজ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.