কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে ফের দলবদল। এবার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার মাঠে সবা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডানলপের ওই সভা-মঞ্চেই তৃণমূলে যোগ দেবেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলার মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতিতে আসতে চাইছেন মনোজ। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথ ধরে উন্নয়নের কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

একুশের ভোটের মুখে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের চমক। দলবদলের রাজনীতিতে থেকে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় খামতি নেই কারও। তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিও তিনি দলবদলের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি। এবার কি লক্ষ্মীর জায়গা পূরণ করতেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মনোজের? উত্তরটা জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।

শুরুটা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু নিজেই নন, অমিত শাহের উপস্থিতিতে গেরুয়া দলের সেই সভায় হাফ ডজন তৃণমূল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শিশির-পুত্র শুভেন্দু। পরে দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও। বেসুরো গাইছেন শুভেন্দুর আরও এক ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তুঙ্গে।

তারপর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দানের হিড়িক পড়ে যায়। একে একে দল ছাড়েন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, দীপক হালদার, প্রবীর ঘোষালরা। প্রত্যেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিন কয়েক আগে নাটকীয়ভাবে রাজ্যসবার অধিবেশন চলাকালীন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূলে আর থাকতে পারছেন না বলে সাফ জানান দীনেশ। তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেই জল্পনা বাড়ছে। আগেভাগেই দীনেশ ত্রিবেদীকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে রেখেছেন দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংরা।

দলবদলের রাজনীতিতে বিজেপিকে এবার পাল্টা তৃণমূলের। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপের মাঠে সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এই মাঠেই সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। আজ মোদীকেই জবাব দেওয়ার সভা মমতার। এদিনের সভাতেই তৃণমূলে যোগ দেবেন মনোজ তিওয়ারি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।