নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর বয়স এখন ৫০ বছর হলেও তিনি আজও অবিবাহিত। ফলে তার কোন ‘গার্লফ্রেন্ড’ আছে কি না এ ব্যাপারটা জানতে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে সকলেই বলতে গেলে অন্ধকারে কারণ রাহুল নিজে তো কোনও দিন প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। কিন্তু এই বয়সে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হল ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদকে। তাও আবার প্রশ্ন করল এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে পুদুচেরিতে।
পুদুচেরিতে স্কুলপড়ুয়াদের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয় ফলে তিনিও যেন ছিলেন এক ভিন্ন মুডে । সচরাচর তাঁকে যেখানে সাদা কুর্তা পা জামায় দেখা যায় বদলে ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন নীল রঙের টি-শার্ট এবং প্যান্ট পরে। হাসিখুশি মেজাজে ওই অনুষ্ঠানে স্কুল পড়ুয়াদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। এমনকি একজন তাকে স্যার সম্বোধন করলে তিনি তাকে বলেন, আমার নাম কিন্তু স্যার নয়। স্বাভাবিকভাবে তার মুখ থেকে এমন উত্তর শুনে আনন্দে ফেটে পড়ে ছিল উপস্থিত পড়ুয়ার দল এবং এতই মজা পেয়েছিল যে তারা রীতিমতো করতালির মাধ্যমে তা প্রতিফলিত হয়। শুধু তাই নয় কেন তা বলেছেন সেটাও ব্যাখ্যা করে রাহুল জানান, তোমরা তোমাদের শিক্ষক মহাশয়, প্রিন্সিপালকে স্যার বলে থাক কিন্তু আমাকে তোমরা রাহুল আন্না বলে ডাকতে পারো।
এই সময় এক ছাত্রী রাহুলকে প্রশ্ন করে বসে- আপনার কি গার্লফ্রেন্ড আছে? এমন প্রশ্ন শুনে অনেকেই মজা পায় এবং হেসে ফেলে। খোদ রাহুল গান্ধী নিজেও এমন প্রশ্নে হেসে ফেলে ছিলেন। তারপর জানান,এর উত্তর নয় অন্য আর একদিনের জন্য রেখে দাও।তবে কৌতুহলী পড়ুয়ারা রাজনীতির বাইরে রাহুলের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছু জানতে চেয়ে ছিল। যার জন্য রাহুলকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রাজনীতির বাইরে তার কোনো বন্ধু আছে কিনা, তার কতজন বান্ধবী এবং তারা কোন ক্ষেত্রের। জবাবে অবশ্য রাহুল জানান, তার অনেক বন্ধু রয়েছে। বন্ধুরা কেউ রাজনীতির জগতের কেউ বা আবার রাজনীতির বাইরের । এমনকি তিনি জানান, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ তেমন লোককেও তুমি বন্ধুর মতোই দেখেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.