কলকাতা: যাবতীয় জল্পনায় জল ঢাললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি জানালেন কীভাবে হঠাৎ দেখা হল, দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, তার কাছে প্রচুর ফোন আসে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা হল ‘দু একটি কথা।’
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এত জল্পনা, এত ফোন। দু একটি কথা। মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভা করে ফিরছিলাম। বারুইপুরের কাছাকাছি পথের ধারের একটি রেস্তোরায় সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়াই। টি ব্রেক। শুনলাম একটু আগেই ওখান থেকে গেছেন বিশিষ্ট এক তৃণমূল নেতা।এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি জায়গায় সভা সেরে ফেরার পথে ওই রেস্তোরায় ঢোকেন বিজেপির দুই নেতা। পুরনো পরিচিত। আলাদা দলে থাকলেও এইসব ক্ষেত্রে সৌজন্য ছাড়া নিশ্চয়ই প্রকাশ্য ঝগড়া হতে পারে না। দেখা হয়েছে। সৌজন্যের কথা হয়েছে। ঐটুকুই। এর মধ্যে কোনো পরিকল্পিত বৈঠকের গল্প বা রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই।তাঁরা বিজেপি। আমি তৃণমূল।
কারুর গোপন বৈঠক করার থাকলে সে নিশ্চয় দলীয় সভা থেকে ফেরার সময় সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রেস্তোরায় সেটা করবে না !!😄😄
ফলে যাঁরা এ নিয়ে প্রবল চিন্তিত, তাঁরা আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।😴😴😴😴😴
বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম বলে পোস্ট করতে দেরি হল।”
উল্লেখ্য, এদিন রাতে খবর ছড়িয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক সারেন বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারী। তবে ব্যাপারটা যে নেহাতই কাকতালীয়, তা ফের একবার ফেসবুক পোস্টে জানান দিলেন কুণাল ঘোষ।
বৈঠককে পুরোপুরি কাকতালীয় বলে দাবি করেছেন বাবুল সুপ্রিয়ও। জানা গিয়েছে বারুইপুরের রোল্যান্ড ইন হোটেলে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন তিন নেতা। অন্যদিকে বাবুল ও কুণালের মতো শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়েছেন, ‘চা খেতে গিয়ে হঠাৎ দেখা।’ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক নয়, সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে।’ আচমকা কুণাল-বাবুল সুপ্রিয়- শুভেন্দু অধিকারীর বারুইপুরের রোল্যান্ড ইন হোটেলে দেখা হওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছিল সচেতন মহল। কিন্তু ব্যাপারটা উড়িয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.