নয়াদিল্লি : ভারত থেকে আলাদা হয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠন করুক পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র। এমনই অদ্ভুত দাবি খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের। এখানেই শেষ নয়, এই দাবির স্বপক্ষে তারা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছে। চিঠি পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে ভারতের অংশ হিসেবে না থেকে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি তোলা উচিত এই দুই রাজ্যের।

শিখ ফর জাস্টিসের দাবি খুব দ্রুত এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বাংলা ও মহারাষ্ট্রের। অবিলম্বে এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা। বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও অস্তিত্ব বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারত থেকে বাংলাকে আলাদা করে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। মহারাষ্ট্রেরও উচিত নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচাতে আলাদা হয়ে যাওয়া। এই দুই রাজ্য সংস্কৃতিগত দিক থেকে সমৃদ্ধ। তাই ভারতের অংশ হিসেবে না থেকে তাদের নিজেদের রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা উচিত বলে দাবি করেছে শিখ ফর জাস্টিস।

শিখ ফর জাস্টিসের জেনারেল কাউন্সেল গুরপতওয়ন্ত সিং পান্নুম বলেন বাংলা ও মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির সুবিধা নিচ্ছে রাষ্ট্র, সেই সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। শিখ ফর জাস্টিস এর আগেও অদ্ভুত কিছু দাবি করে শিরোনামে এসেছিল। ২০১৯ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। পান্নুন জানিয়ে ছিলেন, খালিস্তান হল শিখদের রাজনৈতিক দুর্গ।

শিখ ফর জাস্টিসের উদ্দেশ্য হল ২০২০ সালে গণভোটের মাধ্যমে সদস্য পদ বৃদ্ধি করা। এসএফজে’র আইনি উপদেষ্টা আরও জানান, এই সংগঠনটি ২০২০ সালে গণভোটের প্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও পান্নুনকে ওই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারত সরকার অন্যায়ভাবে তাদের আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, এসএফজে বুলেট নয় ব্যালটে বিশ্বাসী।

ক্যাপ্টেন সিং এটিকে আইএসআই সমর্থিত সংগঠনটির ভারত বিরোধী প্রথম পদক্ষেপ বলেও দাবি করেন। গত বছর অগাস্টে খালিস্তান সমর্থক সংগঠনটি একটি সমাবেশে শিখদের জন্য পৃথক দেশের দাবি জানিয়েছিল। ২০২০ সালে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসে খালিস্তানি পতাকা তোলার হুমকি দিয়েছিল এই সংগঠন। যদি কেউ স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় খালিস্তানের পতাকা উত্তোলন করতে পারে, তাহলে তাকে ১ লক্ষ ২৫ হজার মার্কিন ডলার দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। এমনই দুঃসাহসিক বিজ্ঞাপন দিয়েছিল শিখ ফর জাস্টিস।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।