বুধেই বিজেপিতে যোগ সজলের!
সজল ঘোষ! উত্তর কলকাতা তো বটেই, মধ্য কলকাতার অন্যতম দাপুটে নেতা সজল ঘোষ। দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই নেতা। কিন্তু একাধিক কারণে শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে সজল ঘোষের। এবার পাকাপাকিভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে চলেছেন এই নেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই সজল-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে দলে যোগ দেবেন। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিজেপি নেতার উপস্থিতিতে মোদীর দলে যোগ দিতে পারেন সজল ঘোষ।
প্রত্যেকদিন লোক ঠকাচ্ছে তৃণমূল
দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সজল ঘোষ। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে সজল তাঁর বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু আমি নই, আমার সঙ্গে প্রায় হাজারজন বিজেপিতে যোগ দেবেন। তৃণমূল তাঁকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিং'-এ পাঠিয়ে দিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রভাবশালী এই নেতার। ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে সজলের দাবি, প্রতিদিনই লোক ঠকাচ্ছে তৃণমূল। আর সে কারণে বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজ্যে তাঁরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কাজ করতে চান বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
বাবা প্রদীপ ঘোষ ছিলেন কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা
একটা সময় কংগ্রেসের দাপুটে নেতা ছিলেন প্রদীপ ঘোষ। তাঁর নামে রীতিমত কাঁপত মধ্য কলকাতা। পরে যদিও জার্সি বদলান প্রদীপ ঘোষ। যোগ দেন তৃণমূলে। যদিও সেভাবে শাসকদলে সুযোগ পাননি। এরপর বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। কিন্তু সজল ঘোষ ছিলেন তৃণমূলেই। কিন্তু দিনের পর দিন দূরত্ব অনেকটাই দলের সঙ্গে বেড়েছে তাঁর। ফলে এবার বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন সজল।
আলাদা পরিচিতি রয়েছে সজলের
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো এবং বছরভর নানা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সজলকে। নিজের আলাদা পরিচিতিও রয়েছে তাঁর। সিটি কলেজে পড়াশোনা করার সময়ই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন সজল। তার পর ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি হন। পরবর্তীকালে বাবার সঙ্গেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়েছিলেন। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায়, আবার কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন বাবার সঙ্গে। তার পর ফের ২০১২ সালে তৃণমূলে ফিরে আসেন সজল। যদিও প্রদীপ ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু শারীরিক কারণে রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। ভোটের ঠিক আগে সজল যোগ দিলে উত্তর কলকাতার একাংশে বিজেপির জমি কিছুটা শক্ত হবে বলে মনে করছেন নেতৃত্ব।