বাংলা উন্নয়নে অনুমতি দেয়নি মমতা?
বাংলা উন্নয়নে অনুমতি দেয়নি, মোদীর এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি টুইটে দাবি করেন, রাজ্যের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এদিকে মোদীর অভিযোগ ছিল, শিল্প না-থাকার কারণেই বাংলা এখানকার নাগরিকদের চাকরি দিতে পারছে না। মোদীর এই অভিযোগকেও উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ বলেছেন, '২০১২ সালে বাংলায় ৩৪.৬ লক্ষ লাখ ছোট ব্যবসা চলত, এখন সেটা হয়েছে প্রায় ৮৯ লক্ষের।'
কিষান প্রকল্প বাংলার কৃষকদের পেতে দিচ্ছে না মমতা?
কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী-কিষান প্রকল্প বাংলার কৃষকদের পেতে দিচ্ছে না মমতার সরকার। সোমবার ফের এই তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। পুরনো অস্ত্রে শান দিয়ে তিনি তুলে এনেছেন আয়ুষ্মান প্রকল্পের কথাও। তবে সেই অভিযোগও খণ্ডন করে ডেরেকের টুইট, 'একরপ্রতি কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেয় বাংলা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী-কিষান প্রকল্প একরপ্রতি ১,২১৪ টাকা আর্থিক সাহায্য দেয়।'
২.৫ লক্ষ কৃষকের নাম কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার
পাশাপাশি মমতার দাবি ফের তুলে ধরে ডেরেক জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কৃষক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২.৫ লক্ষ কৃষকের নাম কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা পড়েনি। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যবিমা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ২ বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। এই প্রকল্পে ১০০ শতাংশ বাংলার নাগরিকদের পরিষেবা দিচ্ছে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারি খরচে।
উঠে এসেছে দুর্গা পুজো প্রসঙ্গ
মোদীর আরও অভিযোগ ছিল যে, বাংলার মানুষকে বিশুদ্ধ পানীয় জল দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, কেন্দ্র এ ক্ষেত্রে ১,৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও তার থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা। এ কথার জবাব দিয়ে ডেরেক লিখেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একটি প্রকল্প এনেছে, যার মাধ্যমে ২ কোটি মানুষের ঘরে পাইপের জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এ জন্য খরচ হওয়া ৫৮ হাজার টাকার সম্পূর্ণ ব্যয়বহন করবে রাজ্য সরকার।' রাজ্যের পাট ও আলু শিল্পে আঘাতের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। ফ্যাক্ট চেকে উঠে এসেছে দুর্গা পুজো প্রসঙ্গও।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ ডেরেকের
নতুন রেল রুটের ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ডেরেক লিখেছেন, 'আজ প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন যে বাংলায় নয়া রেল রুট তিনি শুরু করলেন। মিথ্যে! ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাজেটে এই বরাদ্দ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এই টুইটের সঙ্গে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির পিআইবি-র একটি বিবৃতির স্ক্রিনশটও তুলে ধরেছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।