নাইরোবি: বেশ কিছুদিন আগে ভারতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল পঙ্গপাল আক্রমণ। হাজারে হাজারে কৃষকের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছিল। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল এসে হানা দিচ্ছিল ক্ষেতে আর ফসল সাফ করে কৃষকদের করছিল চরম সর্বনাশ। এবার আফ্রিকার এক দেশ কেনিয়া ভয়াবহ পঙ্গপালের আক্রণের মধ্যে পড়েছে।

পঙ্গপাল হানায় চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছিল সে দেশের কৃষকেরাও। কিন্তু এখন উলটে গেছে পাশা। শাপে বর পাওয়ার মত ব্যাপার ঘটেছে কেনিয়ার কৃষকদের সঙ্গে। সেদেশে এক বিজ্ঞান সংস্থা ঘোষণা করেছে, পঙ্গপাল ধরে নিয়ে ওই সংস্থার কাছে দিলে দেওয়া হবে টাকা!

কী করা হচ্ছে ওই পঙ্গপাল নিয়ে?

জানা গিয়েছে, ওই পঙ্গপালগুলিকে মেরে সেগুলিকে প্রোটিন সমৃদ্ধ পশু খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করছে ওই সংস্থা। এর ফলে কৃষকরাও যেমন খুশি, তেমনই ওই সংস্থাও অনেক কম মূল্যে তৈরি করতে পারছে প্রোটিন সমৃদ্ধ পশু খাদ্য। আবার যারা পশুর খাবার কিনেছেন তারাও খুশি।

কেনিয়ার ওই সংস্থার নাম ‘দ্য বাগ পিকচার’। পঙ্গপাল হানায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কাছে ওই সংস্থা আশীর্বাদ স্বরূপ। কৃষকেরা যদি ওই সংস্থাকে ১ কেজি পঙ্গপাল দিতে পারে, সেক্ষেত্রে কোম্পানি তাঁদের দিচ্ছে ৫০ কেনিয়ান শিলিং, ভারতে যার মূল্য ৩৩.১৪ টাকা পায়। অবস্থা এমন যে আলো জ্বালিয়ে পঙ্গপাল ধরতে শুরু করেছেন সকলে।

উল্লেখ্য, আফ্রিকার উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ইদানীং বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে পঙ্গপালের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাতে প্রথমে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতির মধ্যে পড়লেও ব্যাপারটা এখন শাপে বর। ওই সংস্থা, কেনিয়ার লাইকিপিয়া, ইসিওলো এবং সাম্বুরার কৃষকদের কাছ থেকে পঙ্গপাল নিচ্ছে। লাইকিপিয়া এলাকায় পঙ্গপাল ব্যাপক আকারে জমা হচ্ছে। আকাশ জুড়ে কালো করে আসছে এই প্রাণীরা। আর কৃষকেরাও দেরি না করে জালের সাহায্যে সেগুলি ধরে পৌঁছে দিচ্ছে ‘দ্য বাগ পিকচার’ এর কাছে।

ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছে, পঙ্গপাল থেকে পশুখাদ্য বানানোর এই বিষয়টা তাঁর মাথায় আসে পাকিস্তান থেকে। সেখানকার সাধারণ কিছু মানুষ এই কাজ করত। কিন্তু সরকার সেদিকে মনোযোগ দেয়নি, ফলে তাঁরা লাভবান হতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটাই করছি।

কেনিয়ায় পরিস্থিতিটা এমন হলেও ভারতের ক্ষেত্রে পঙ্গপাল হানা মোটেই ভালো না। কৃষকদের সর্বস্বান্ত করে দেয় এই পঙ্গপাল আক্রমণ। কিছু কিছু জায়গায় পঙ্গপাল রুখতে রাসায়নিক স্প্রে করতে হয়। অনেক জায়গায় আবার গ্রামবাসীরা টিনে আওয়াজ করে পঙ্গপাল তাড়ান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।