তিন রাজ্যে প্রবেশ
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভিকে পাল সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রে দু'টি ভিন্ন প্রজাতির করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে, একটি হল এন৪৪০কে এবং অন্যটি হল ই৪৮৪কে। এই দুই প্রজাতির করোনা ভাইরাস মহারাষ্ট্র, কেরল ও তেলঙ্গানায় দেখা মিলেছে।' ডাঃ পাল আরও জানিয়েছেন যে এছাড়াও আলাদাভাবে ব্রিটেন স্ট্রেন করোনা আক্রান্ত ১৮৭ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে, এর পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনে আক্রান্ত ৬ জন ও একজন ব্রাজিল স্ট্রেনে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে এখনও পর্যন্ত।
জাপানে আক্রান্ত ৯১ জন
ইতিমধ্যেই ভিন্ন চরিত্রের ই৪৮৪কে ভাইরাসে জাপানে কমপক্ষে ৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাস ভিনদেশি তা নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও ঠিক কোথা থেকে এর উৎপত্তি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশ্বের মধ্যে জাপানই একমাত্র দেশ ছিল যেখানে এই ভিন্ন প্রজাতির ভাইরাসের দেখা মিলেছে, তবে সেই তালিকায় জুড়ল ভারতেরও নাম। এই দুই ভিন্ন প্রজাতির ভাইরাসের ওপর ভ্যাকসিন কোনও ধরনের কাজ করবে কিনা তা নিয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি।
মহারাষ্ট্রে লাঘু কড়া নিষেধাজ্ঞা
দেশের পাঁচটি রাজ্যে করোনা বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্র সরকারের। মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ। বিএমসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বৃদ্ধি যদি সেইভাবে বাড়তে দেখা যায় তবে সরকার দ্বিতীয় লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে। মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু জেলায় আংশিক লকডাউন ও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর ওপর নতুন করে ভিন্ন এই ভাইরাস এই রাজ্যে প্রবেশ করায় সরকারের কপালে ফের চিন্তার ভাঁজ ফেলল।
ব্রিটেনের কোভিড স্ট্রেন
কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের নয়া কোভিড স্ট্রেনের জন্য ভারতে বেশ কিছু এসওপি জারি করা হয়েছিল। সাময়িক কালের জন্য ব্রিটেন ও ভারতের বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেরলে ব্রিটেনের স্ট্রেনে আক্রান্তে সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের করোনা টেস্ট ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করে দেয় সরকার।