১৮ জানুয়ারি প্রার্থীপদ ঘোষণা করেছিলেন মমতা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে গিয়ে ১৮ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে লড়াইয়ের জন্য নিজের প্রার্থীপদ নিজেই ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন নন্দীগ্রাম তাঁর কাছ বড় বোনের মতো। আর ভবানীপুর মেজো বোনের মতো। এরপর থেকে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
প্রার্থীপদ ঘোষণা জটু লাহিড়ীর
এবার কার্যত তৃণমূল নেত্রীর স্টাইলেই নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণা করে দিলেন হাওড়া শিবপুরের প্রবীণ বিধায়ক জটু লাহিড়ী। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছে। এবারও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই জানেন, এবারও তিনি এই কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা
অন্য অনেকের মতোই তিনিও যে প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংগঠনের আইপ্যাকের কাজকে মেনে নিতে পারেনি তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি প্রশান্ত কিশোরকে চেনেন না। জেলা সভাপতির নির্দেশে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অন্য কারও নির্দেশে তিনি অনুষ্ঠান করেন না। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়া কারও নির্দেশের পরোয়া তিনি করেন না বলেও জানিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি নিজের জেলা সভাপতির পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নাম উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও তিনি প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা করেছিলেন। জেলায় সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তাঁকে ভাড়াটে বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন বিকের জন্য দলের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। জটু লাহিড়ীর কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গিয়েছিল সেই সময়ে তৃণমূলে থাকা বিধায়ক মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তদের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেও তৃণমূলেই রয়ে যান জটু লাহিড়ী।
দলে গুরুত্ব না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে
দীর্ঘদিন তিনি তৃণমূলে রয়েছেন, কিন্তু দলে গুরুত্ব না পাওয়ার আপেক্ষ রয়েছে জটু লাহিড়ীর। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালে হাওড়ার মেয়র পদের দাবিদার হলেও, দলেই কিছু নেতার জন্য তার সুযোগ হয়নি। পাশাপাশি গত দুবছরের বেশি সময় ধরে হাওড়া পুর নিগমে ভোট না হওয়ায় মানুষ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না বলেও তোপ দেগেছিলেন তিনি।