সান্টিয়াগো: করোনার হাত থেকে রেহাই পায়নি আন্টার্কটিকাও। সেখানেও ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চিলিয়ান বার্নাডো ও’হিগিনস রিসার্চ স্টেশনে থাবা বসিয়েছিল করোনা। ওই স্টেশনকে অন্য়ান্য বেসের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। তবে আশঙ্কা এই ভাইরাস শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। এর ফলে বিপদে আন্টার্কটিকার বন্যপ্রাণীও।

করোনা ভাইরাস যে কতটা অপ্রত্যাশিত তা জেনে নিয়েছে গোটা বিশ্ব। সেই ভাইরাসের আতঙ্কেই এখন কাঁপছে আর্টার্কটিকার বন্যপ্রাণ। ১৫ সদস্যের বিজ্ঞানীদের একটি দল দক্ষিণ মেরুতে করোনা ভাইাসের ঝুঁকি নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে। তখনই জানা গিয়েছে আন্টার্কটিকার বাস্তুতন্ত্রকে ভেঙে ফেলতে পারে এই ভাইরাস।

মহাদেশের প্রাণীদের এখনও যদিও পরীক্ষা করা হয়নি। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা যদি এটি প্রাণীদের শরীরে ঢুকে যায় তবে তাদের কীভাবে এটি সংক্রমিত করবে তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

মানুষের শরীরে যে ৭টি করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় তার মধ্যে COVID-19 হল একটি। এটি প্রাণী থেকে প্রাণীর মধ্য়ে ছড়ায়। এভাবেই ২০০২-২০০৪ সালে SARS কুকুর ও গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণীদের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। পশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব সংস্থা পশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র কয়েক প্রজাতিকেই সন্দেহের আওতায় ফেলা গিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সিংহ, বাঘ, বিড়াল ও কুকুর। তবে এদের মধ্যে কোনও কোনও প্রাণী আবার নিজেরাই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। যেমন বিড়াল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বিড়াল অসুস্থ হয় কিন্তু নিজে থেকেই ভাইরাসকে হারিয়ে ফের সুস্থ হয়ে ওঠে।

যদিও আন্টার্কটিকায় কুকুর বা বিড়াল পাওয়া যায় না। কিন্তু ১০০ মিলিয়ন সমুদ্রের পাখি রয়েছে এই মহাদেশে। বিশ্বের মধ্যে ৪৫ শতাংশ পেঙ্গুইন থাকে এই মহাদেশে। সিল মাছ থাকে ৫০ শতাংশ। বিশ্বের শতকরা ১৭ শতাংশ ডলফিন থাকে এখানে। এদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা খুব বেশি। তাদের জিনগত রিসেপ্টরই এর জন্য দায়ী। সিল ও পাখিদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে কম। কিন্তু মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগে এলে সংক্রমণ ঘটতে পারে। গবেষকরা বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেন। এছাড়া গবেষণাগারের বাইরেও এই প্রাণীদের দেখা যায়। সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।

একজন মানুষ যখন আন্টার্কটিয়ায় যায় তখন সে নিজের সঙ্গে অনেক ব্যাকটেরিয়া, মাইক্রোবস ইত্যাদি নিয়ে যায়। তারা ফিরে আসার পরও এগুলো ওই স্থানে রয়ে যায়। যদিও বেশিরভাগই ঠান্ডায় মরে যায়। কিন্তু করোনা মহামারী এক বছরে বিশ্বকে অনেক কিছু দেখিয়েছে। তাই আন্টার্কটিকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে একাধিক নিয়ম। যেমন জামাকাপড় ও যন্ত্রপতি পরিষ্কার থাকতে হবে। প্রাণীদের থেকে অন্তত ৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।