নয়াদিল্লি: ক্রমশ কঠিন হচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিইট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (AIIMS)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। দেশজুড়ে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে করোনার নতুন স্ট্রেন। আর এই স্ট্রেনের সঙ্গেই লড়াই করা কঠিন। তিনি জানিয়েছেন SARS-CoV-2 ভাইরাসের যে নতুন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে সেটি পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই মানুষের শরীরে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা মহারাষ্ট্রের পূর্বদিকে অমরাবতী, যাবৎমাল, অলোকা ও বিদর্ভ এলাকায় করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পেয়েছেন। এই বিশেষজ্ঞদের অন্যতম হলেন চিকিৎসক শশাঙ্ক যোশী ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের চিকিৎসক টি পি লাহানে। দুজনেই দেশের নামী চিকিৎসক। তাঁরা মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য। লাহানে জানিয়েছেন, তিন জেলা থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে এই নতুন স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। কিন্তু আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। সম্ভাব্য সংক্রমণের ঝুঁকি জানতেই পরীক্ষা প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা।

যোশী জানিয়েছেন, সরকার এ বিষয়ে জানার জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে। রাজ্যের কিছু এলাকায় বড়সড় সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুহার কম। এছাড়া কেরল, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পঞ্জাবেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তবে পঞ্জাবে মৃত্যু বাড়ছে। করোনার মিউটেড স্ট্রেন রাজ্যে প্রবেশ করেছে কি না এবং মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে কি না জানতে এই রাজ্যের আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার ৫ শতাংশ স্ট্রেন ন্যাশনাল সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল ও ইনস্টিটিউট অফ জেমোনিক্স অ্যান্ড ইন্টারগ্রেটিভ বায়োলজিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রণদীপ গুলেরিয়া আরও বলেছেন, এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সবচেয়ে প্রয়োজন হার্ড ইমিউনিটি। সেই জায়গায় পৌঁছনো খুব কঠিন ব্যাপার। কারোর ভাবা উচিত নয় ভারতে এটা শুধু একটা প্র্যাকটিকাল টার্ম। কারণ সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্ট্রেন আসছে। এই সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা প্রয়োজন। কারণ এই স্ট্রেন নতুন করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ভাইরাসের মোকাবিলা করতে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া প্রয়োজন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।