হুগলি: হুগলির ডানলপ ময়দানের সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে তীব্র আক্রমণ করলেন তাঁরই পূর্বতন সহযোদ্ধা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যে কর্মসংস্থান ও শিল্প স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আশীর্বাদ চাইলেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন হুগলির সভা মঞ্চ থেকে বলেন, “মাননীয়া বলছেন তিনি এখন গোল কিপার , সব গোল তিনি সামলাবেন। আসলে তাঁর দলে এখন আর কোনও প্লেয়ার নেই। তাই তিনি বলছেন তিনিই গোল কিপার। শুনে রাখুন মাননীয়া, আমরাও স্ট্রাইকাররা রয়েছি। আমরা জানি কী করে গোল দিতে হয়।”

প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাতৃভাষা দিবসের দিন দেশপ্রিয় পার্কে বলেছেন, “আমি দিল্লির কাছে মাথা নিচু করবো না। আমার বাংলা আমায় মাথা নিচু করতে শেখায়নি। আমি আছি গোল কিপার। আমিই গোল সামলাবো, খেলা হবে। খেলার শেষে দেখা যাবে কে যেতে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে খেলা হবে শুনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, “খেলা হবে আবার কী কথা? এটা কোন রাজনৈতিক ভাষা?”

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই এদিন হুগলির সভা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “অনেক বড় বড় কথা বলছিলেন। কাল কী হলো? এবার ভাইপো জেলে যাবেন। আমি এবার লালার ডাইরি নিয়ে নামবো। কয়লা পাচারের টাকা, গরু পাচারের টাকা কোথায় যায় বোঝাবো। এতদিন তো বলতো বিজেপি কাপুরুষ। এবার কি হলো?”

রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের কথায়, “রাজ্য রাজনীতিতে এখন শুধু আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের পালা চলছে। শাসক-বিরোধী সবাই শুধু পরস্পরের নাম করে কুৎসা করছেন, কুকথা বলে চলেছেন। এখানে মানুষের জন্য কোনও কথা নেই। মানুষের সমস্যা সমাধানের কোনও কথা নেই। এই রাজনীতি সমাজের উন্নতি করতে পারবে কী ?”

তবে এরই মধ্যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের যুবক-যুবতীদের এই রাজ্যে চাকরির জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েই সরব হয়েছেন। হুগলির সভা থেকে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “ডানলপ একদিন শিল্প শহর ছিল। মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে কাজ করতে আসতেন। বাংলার ছেলে, মায়েরা চাকরির জন্য বাংলা থেকে গুজরাট, হরিয়ানায় চলে যাচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির কাছে আবেদন করবো, বাংলাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য আশীর্বাদ করুন।”

তবে প্রধানমন্ত্রী এদিন দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সারা দিয়ে সভা মঞ্চ থেকে বলেছেন, “আর নয় অন্যায়। বাংলায় এবার সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।