ভোপাল : মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমল নাথ কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচলেন। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তিনি। লিফট দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি রবিবার। ইন্দোরের ডিএনএস হাসপাতালে দলের নেতা রামেশ্বর প্যাটেলকে দেখতে গিয়েছিলেন কমল নাথ। সঙ্গে কংগ্রেসের অন্যান্য রাজ্য স্তরের নেতারাও ছিলেন। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।
কমল নাথের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর নরেন্দ্র সালুজা বলেন অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে হাসপাতালের লিফটে ওঠেন কমল নাথ। আচমকাই লিফটের তার ছিঁড়ে যায়। হুড়মুড় করে লিফট নামতে থাকে নীচের দিকে। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে, সাথে ধুলো। প্রায় ১০ ফুট নীচে পড়ে যায় লিফটটি। এরই মধ্যে লিফটের দরজাটি পুরোপুরি আটকে যায়। যেখানে গিয়ে লিফটটি কোনওরকমে থামে, সেখানেও দরজা কোনও ভাবেই খোলা যায়নি।
পরে সব নেতাদের উদ্ধার করা হয়। কমল নাথ ও অন্যান্য নেতারা নিরাপদে রয়েছেন। তাঁদের সেভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি বা আঘাত লাগেনি। তবে এই ঘটনা নিরাপত্তার গাফিলতিকেই তুলে ধরে। কেন এরকম ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে বলেও প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তা তদন্ত করতে হবে বলেও দাবি করেছে প্রদেশ কংগ্রেস।
রবিবার এই দুর্ঘটনার সময় কমল নাথের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সজ্জন বর্মা, জিতু পাটওয়ারি, বিধায়ক বিশাল প্যাটেল ও শহর কংগ্রেস প্রধান বিবেক বাকলিওয়াল। ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরাও।
উল্লেখ্য, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ার পরপরই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের টালমাটাল অবস্থা তৈরি হয়। শেষমেশ সংখ্যার ‘খেলা’য় হার মানেন কমল নাথ। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন হয়।
রাজ্যের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাত থেকে কার্যত ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিং চৌহান। কমল নাথের সরকার নিজেরা কাজ না করে বর্তমান রাজ্য সরকারের কাঁধে হাজার-হাজার কোটি টাকার দেনা চাপিয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ জ্যোতিরাদিত্যের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.