ভোপাল: নেটওয়ার্কের সমস্যা শুধু আমার, আপনার হয় না। হয় মন্ত্রীদেরও। তাই ফোনের সিগন্যাল পাওয়ার চেষ্টায় এই মন্ত্রী হলেন মুহূর্তেই ভাইরাল। তিনি মধ্য প্রদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রী ব্রজেন্দ্র সিং যাদব। তার এই কীর্তি অবাক করেছে নেটিজেনদের। জানা গিয়েছে তিনি নাকি মধ্য প্রদেশের অশোক নগর জেলায় একটি ৫০ ফুট উঁচু দোলনায় চেপেছিলেন তার সেল ফোনের নেটওয়ার্ক পেতে। তবে তার এই কীর্তিতে আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” প্রকল্প।
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রী ব্রজেন্দ্র সিং যাদবের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি নাকি আমখো গ্রামের একটি দোলনায় চড়েছিলেন যেখান থেকে তিনি শেষমেশ সফল হন বিশেষ জরুরি ফোনকোনগুলি সম্পূর্ণ করতে। জমিতে দাঁড়িয়ে তিনি নেটওয়ার্ক না পাওয়ার জন্যে উপরে উঠেছিলেন। সেই দোলনায় তিনি আর এক ব্যক্তির সঙ্গে রয়েছেন এমন ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবি নিয়ে এখন বিভিন্ন মিম ও নানা রকম জোকস বানানোও চলছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। রবিবার তার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
যে সময়ে তিনি সেই দোলনায় চড়েছিলেন সেই সময়ে আমখো গ্রামে “ভাগবত কথা” নামক এই পাঠ চলছিল। সেই উপলক্ষে গ্রামে বসেছিল মেলা। এই দোলনাটি সেই মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিলো। মন্ত্রী ব্রজেন্দ্র সিং যাদব জানিয়েছেন যে তার কাছে সাধারণ মানুষদের নানা অভিযোগ জানিয়ে ফোন আসে। কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকায় তিনি তাদের অভিযোগ শুনতে ও জানতে পারছিলেন না। তাই সেই সমস্যা সমাধানের জন্যেই তিনি উঁচুতে চড়েন যাতে ভালো সিগন্যাল পাওয়া যায়। তিনি জানিয়েছেন যে তিনিই আমখো গ্রামে অনুষ্ঠিত “ভাগবত কথা” অনুষ্ঠানের মুখ্য উদ্যোক্তা ছিলেন। তাই সেখানে এসেছিলেন। এদিকে আবার জনগণের সমস্যা সমাধানে তাকে ফোনে কথা বলতেই হতো। কিন্তু সেটা তিনি করতে পারছিলেন না। মধ্য প্রদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রী ও বিধায়ক ব্রজেন্দ্র সিং যাদব ৯ দিন ধরে ৩ ঘন্টা সময় কাটাচ্ছেন সেই দোলনায়, এমনটাই জানা গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.