মুসলিম ভোটের বিভাজন হ্রাস করবে জোট!
উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহায়তা করবে একুশের ভোটে। অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর থাকলেও রাজ্যের উন্নয়নের চিত্রটা যে মমতার পক্ষে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, "বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফের মধ্যে মহাজোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে মুসলিম ভোটের বিভাজন হ্রাস করতে পারে।"
মহাজোট হলে বাম-কংগ্রেসের হিন্দু-মুসলিম ভোট
আইএসএফের সঙ্গে জোটে থাকলে হিন্দু ভোটারদের একটি অংশ বাম ও কংগ্রেসকে ভোট দিতে পিছপা হবে। অন্যদিকে, মুসলিম ভোটের একটি অংশ, যা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আইএসএফ-এ স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছিল, তারা আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফিরে আসতে পারে। তৃণমূলের পক্ষে সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজনও রোধ করবে এই জোট।
বিজেপি-তৃণমূলের দ্বিচারিতার রাজনীতি ভেঙে যাবে
আবার আর এক দল বিশ্লেষকের ব্যাখ্যা, "আইএসএফ, সিপিএম এবং কংগ্রেস হাত মেলালে বিজেপি-তৃণমূলের দ্বিচারিতার রাজনীতি ভেঙে যাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষতি হতে পারে এই জোটের কারণে। কারণ মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ দিনাজপুরে জোটের ভোট বেড়েছে।
জোট হলে মমতা খুব বেশি লাভ করতে পারবেন না
তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি তৃণমূলের পক্ষে ভোট-বিভাজন রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। সব মিলিয়ে দেখে মনে হচ্ছে, জোট হলে মমতা খুব বেশি লাভ করতে পারবেন না। তবে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোটে এখনও জট কাটেনি। নতুন দল করেই পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি ৭০টি আসন দাবি করে বসেছেন।
আসন-রফায় অবাস্তব দাবি আব্বাস সিদ্দিকির
মাস খানেক আগে নতুন দল করেছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে নতুন দল গড়েই তিনি বাম-কংগ্রেসের মহাজোটে সামিল হতে চেয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল মহাজোটের রফায় তাঁর অবাস্তব দাবি। আব্বাস সিদ্দিকি জানিয়েছেন, সমীক্ষা করেই তিনি ৭০ আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।