মালদহ : বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন ঝাড়খন্ড দিশম (jdp)পার্টিরর রাজ্য সভাপতি মোহন হাঁসদার। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

যদিও জেডিপি’র এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তবে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির এই সিদ্ধান্তে আদিবাসী এলাকায় আরও মজবুত হল তৃণমূল কংগ্রেসের মাটি। দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

সম্প্রতি একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি। আদিবাসী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে রেল রোকো,পথ অবরোধের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ এতকিছুর পরেও তাঁদের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্র।তাই এবারে সরাসরি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব।

জেডিপির রাজ্য সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন, “বিজেপি আদিবাসীদের মধ্যে খুঁটি গেড়ে রেখেছে। আমরা আজ থেকে শুরু করলাম আমরা কোন ভাবেই বিজেপিকে জিততে দেব না। পুনরায় আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। আমরা সমর্থন করছি যাতে তিনি পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হন। বিজেপি আমাদের সাথে শুধু প্রতারণা আর ধোঁকাবাজি করেছে। আদিবাসীদেরকে ব্যবহার করেছে। আমরা আদিবাসীদের কাছে বার্তা দিচ্ছি যে বিজেপি একমাত্র আমাদের শত্রু। কোনো ভাবেই আমরা বিজেপিকে পশ্চিম বাংলায় জিততে দেব না।”

এমনকি ৬ই মার্চ বিশাল জনসভা করা হবে বলেও জানিয়ে দিলেন মোহন হাঁসদা।

জিডিপির এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে সেটা ধরে নিয়েই ভারতীয় জনতা পার্টি ভোট রাজনীতিতে নামছে। ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির সঙ্গে তাঁদের কিছু ভাড়া করা নেতাদের কার্যসিদ্ধির জন্য লোক নিয়ে এসে ঢাকঢোল পিটাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায় ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গেই আছে।”

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “জেডিপি বিজেপির চক্রান্তে বাংলায় মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাঁরাও বুঝে গিয়েছে বিজেপি তাঁদের ব্যবহার করছে তাই তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবে এটা ভালো খবর। জেডিপির এই সিদ্ধান্তে আদিবাসী এলাকা আরও শক্তিশালী হবে বলে দাবি তার।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।