সরকার-নির্বাচন কমিশনার সংঘাতের মাঝেই শেষ অন্ধ্রের পঞ্চায়েত ভোট, ফের ক্ষমতায় জগনমোহনের দল

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই অন্ধ্রপ্রদেশে হয়ে গেল বড়সড় ভোট যুদ্ধ। ৯, ১৩, ১৭, ২১ মোট চার দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় অন্ধ্রপ্রদেশে। যাতে বিরোধীদের কার্যত ধরাশায়ী করে এবার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি (ওয়াইএসআরসিপি)। কিন্তু শুধুমাত্র ভোট যুদ্ধই নয় এবারের অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন আরও বেশ কয়েকটি কারণের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচন কমিশনার-রাজ্য সংঘাতে চরমে ওঠে বিবাদ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত পঞ্চায়েতের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হলে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত বছরের এপ্রিলে। কিন্তু করোনার কারণে তাতে কোপ পরে। পরবর্তীতে দেশজোড়া লকডাউনের কারণে তা আরও পিছিয়ে যায়। এমতাবস্থায় এবার লকডাউন উঠে যেতেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাজের মেয়াদকাল কমিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কাজের যোগ্যতার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের কাজের যোগ্যতার মাপকাঠিতেও রদবদল আনে সরকার।

হাইকোর্টের রায়ে তীব্র জল্পনা গোটা রাজ্যে

আর এই দুই সিদ্ধান্তের জেরে কাজ হারান তদানত্ত্বীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রমেশ কুমার। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আর এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে কনকরাজ। এদিকে রাজ্যের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা করেন রমেশ কুমার। পরবর্তীতে হাইকোর্টে মুখ পোড়ে সরকারের। রাজ্য সরকারের নির্দেশকে অবৈধ বলে রায় দিয়ে ৩১ জুলাই থেকে পুনরায় রমেশ কুমার নির্বাচন কমিশনার হিসাবে পুনর্বহাল করে কোর্ট।

তীব্র আলোড়ন অন্ধ্রের রাজ্য-রাজনীতিতে

এদিকে ফের দায়ভার গ্রহণের পর থেকেই রাজ্য সরকারের একাধিক আমলার ক্ষেত্রে কাজে অসহযোগীতার অভিযোগ তোলেন রমেশ কুমার। এমনকী করোনা আবহের মাঝেই প্রস্তাব দেন ভোটের। এদিকে এই দুইয়ের মাঝে পড়ে নির্বাচন কমিশনার বনাম রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। যার ফলে তীব্র আলোড়ন শুরু হয় অন্ধ্রের রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে ওই সময়েই রাজ্য চার দফা নির্বাচনের প্রথম প্রস্তাব দিতে দেখা য়ায় রমেশ কুমারকে।

একনজরে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল

এদিকে নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে সদ্য সমাপ্ত চার দফার ভোটে মোট ভোট পড়েছে প্রায় ৮১ শতাংশ। তবে সামগ্রিক ফলাফলে জিতেছে শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিই। এমনকী ফলপ্রকাশের পরেও দেখা যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল তথা চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টিকে (টিডিএস) অনেকটাই পিছনে ফেলেছে জগনমোহনের দল। ওয়াইএসআর যেখানে জিতেছে ১০,৩৮২ আসন। সেখানে টিডিপি জিতেছে মাত্র ২০৬৩ টি আসন। এদিকে অন্যদিকে বিজেপি পবন কল্যানের জনসেনার সঙ্গে জোট করে জিতেছে মাত্র ৪৫ টি আসন।

৪০ শতাংশ আসনেই তরুণ ব্রিগেড! বামেদের 'প্রেস্টিজ ফাইটে’ মুখ হতে পারেন ঐশী, দীপ্সিতারা

More ANDHRA PRADESH News