অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে অসম-বাংলা দুই রাজ্যেই ঝড় তুলছে বিজেপি
একদিকে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে অসম-বাংলা দুই রাজ্যেই ঝড় তুলছে বিজেপি। এই আবহে অসমে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর দল সরকার গঠন করলে সিএএ লাগু হতে দেবে না অসমে। অপরদিকে বাংলায় এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য পেশ করেনি বাম-কংগ্রেস জোট। সিএএ বিরোধিতা করলেও, ভোটের মুখে এই বিষয়ে চুপ রয়েছে জোট।
বাংলায় হিন্দু ভোটারদের হারাতে চাইছে না কংগ্রেস
বাংলায় কংগ্রেস হিন্দু ভোটারদের হারাতে চাইছে না। সেই কারণেই সিএএ নিয়ে তারা এখানে ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলছে। বা বলা ভালো, এখনও তারা এই বিষয়ে সেভাবে সরব হয়নি। এদিকে অসমে সিএএ ইস্যু জাতিভিত্তিক, ধর্ম ভিত্তিক না। কংগ্রেস মনে করছে অসমে এই নীতিতে এগোলে নির্বাচনে লাভ পেতে পারে তারা। তবে বাংলায় হিতে বিপরীত হতে পারে।
সিএএ বিরোধিতায় সরব রাহুল গান্ধী
অসমে রাহুল গান্ধী সিএএ বিরোধিতায় সরব হয়ে অসমে ইতিমধ্যে জনসভা করেছেন। তবে বাংলায় তিনি এখনও পা রাখেননিষ ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেডে তিনি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ কংগ্রেসের হয়ে অসমে যেই চিত্রটা রাহুল অসমে এঁকে দিয়েছেন, তা বাংলাক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে মতুয়া ভোট পুরোটাই হাতছাড়া হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরে।
সিএএ ইস্যুতে উভয় সংকটে বিজেপিও
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয়েছিল সিএএ। তবে এরপরই সিএএ-র বিরোধিতায় রাস্তায় নামে দেশের বহু মানুষ। অসমে সিএএ পাশ হওয়ার আগের থেকেই রাস্তায় নেমেছিলেন বহু মানুষ। মূলত অসম থেকেই বাকি দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সিএএ বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে অসমে প্রাণ হারান ৫ জন। এরই মাঝে দিল্লির শাহিনবাগেও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন মহিলারা। যা বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল অমিত শাহ অ্যান্ড কোম্পানিকে। এরই মাঝে দিল্লির নির্বাচনে ধরাসায়ী হয়েছিল বিজেপি।
অসম জয় করার ছক কংগ্রেসের
সেই রেশ টেনে ধরেই অসমে ভালো ফল করতে চাইছে কংগ্রেস। দিল্লির নির্বাচনের মতোই কি অসমেও সিএএ ফ্যাক্টক বুমেরাং করে যাবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। করোনা আবহে সিএএ ফোকাসের বাইরে চলে গেলেও নির্বাচন যত এগিয়েছে, ততই ফের রাজনৈতিক ময়দান সরগরম করতে সিএএ ইস্যু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস।