জোট হচ্ছেই, আসনরফা নিয়ে আলোচনা
১৬ ফেব্রুয়ারি আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জোট-বৈঠক শেষে বাম-কংগ্রেস একযোগে ঘোষণা করেছিল পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট মহাজোটে সামিল হচ্ছে। তবে জোট চূড়ান্ত হলেও আসন-রফা নিয়ে সেদিন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। সেই কারণেই শনিবার ফের তাঁরা আসনরফা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
দক্ষিণবঙ্গের ৮০ শতাংশ আসন রফা চূড়ান্ত
ওই বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের ৮০ শতাংশ আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গে আইএসএফের বেশ কিছু আসনের দাবি মানতে চায়নি কংগ্রেস। তবে সিপিএম কিছু আসন ছাড়তে রাজি আইএসএফকে। ফের জোট বৈঠকে বসবে তিন দল। সেখানেই বাকি জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে মহাজোট।
উত্তরবঙ্গে জোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে
আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌশাদ সিদ্দিকি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত আসনেই রফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আর সামান্য কিছু আসনে রফাসূ্ত্র খুঁজতে বাকি রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও রফাসূত্র খোঁজা চলছে। শীঘ্রই আমরা জোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারব। তিন দলই এখন আশবাদী।
বাম-কংগ্রেসের জোটে সিদ্দিকি! তা হলে মিমের কী হবে
তবে আব্বাস সিদ্দিকি বাম-কংগ্রেসের জোটে সামিল হলে মিমের কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মে়টিয়াব্রুজের কারবালা পিঙ্ক স্কোয়ারে সভা করবেন। সেখানে আমন্ত্রিত নন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
বাম-কংগ্রেস জোটে আব্বাস সিদ্দিকি, দূরত্ব বাড়াচ্ছে মিম
অথচ মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এর আগে বাংলায় পা রেখেই সটান গিয়েছিলেন পিরজাদার দরবারে। এবং আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখেই তিনি লড়তে চেয়েছিলেন বাংলায় নির্বাচনে। কিন্তু আব্বাসের মহাজোটে সামিল হওয়ার পরক্ষণেই মিমের সঙ্গে সখ্যতা কি তবে ভেঙে যাওয়ার পথে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আব্বাস বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হচ্ছেন বলেই মিম দূরত্ব বাড়াচ্ছে।