মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রবিবার রাজ্যের মানুষকে এব্যাপারে সতর্ক করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। করোনা সংক্রমণের দাপটে আপাতত সে রাজ্যে কিছুদিনের জন্য নিষিদ্ধ হল রাজনৈতিক সভা, ধর্মীয় সভা, সামাজিক সমাবেশ।
উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে আগে একসময় যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ছিল মাত্র ২০০০ এর কাছাকাছি, সেখানে বর্তমানে আক্রান্ত হচ্ছেন ৭০০০ জন। এই সংক্রমণের তীব্রতা বাড়ায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে আবেদন করেছেন তিনি।
নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় বেশ চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে। পুনে শহরের প্রশাসন ফের নাইট কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে হোটেল রেস্তোরাগুলি। কোনও বিয়েবাড়ির জমায়েতে ২০০ জনের বেশি লোককে আমন্ত্রণ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অমরাবতী থেকে প্রায় এক হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি একেবারে তৈরি, কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক না পড়ে, তবে লকডাউন করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা টিকাকরণ অভিযান চালাচ্ছি। আমি আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন সামনে এগিয়ে এসে টিকাকরণের কাজ শুরু করে। এটা নিরাপদ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে আমরা কতটা ভ্যাকসিন পাচ্ছি তার ওপরে নির্ভর করেই আমরা টিকাকরণ করতে পারছি।” উদ্ধব ঠাকরে নিজেই জানান, এখন প্রশ্ন হল সাধারণ মানুষ কবে টিকা পাবে? এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটা পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। কেন্দ্রই ঠিক করছে, কতটা টিকা দেওয়া হবে।
ঠাকরে জানান, মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক সমস্তা সভা অনলাইনে হবে। পরবর্তী ৮ দিন করোনার বিস্তার রোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বোঝা যাবে এটা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কিনা। ঠাকরে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা একটি নতুন ক্যাম্পেন শুরু করছি, ‘I am Responsible’.”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.