গুয়াহাটি: আগামী ৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। সোমবার অসমের একটি জনসভায় তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী অসমের ওই জনসভায় মোদী বলেছেন, ‘‘এরপরেও বেশ কয়েকবার আমি রাজ্যে সব। এবার ৭ মার্চ ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে।’’

ইঙ্গিতটা মিলেছিল আগেই। এবার সেই ইঙ্গিত আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী মার্চে মাসের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

আসন্ন নির্বাচনে বাংলা এবার পাখির চোখ বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির। নিয়ম করে রাজ্যে আসছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। গত কয়েকদিন ধরেই বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ কবে ঘোষণা হবে তা নিয়ে জোরদার আলোলচনা চলছে সব মহলে। তবে সোমবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে স্পষ্ট একটি ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অসমের সভা থেকে।

৭ মার্চ যদি নির্বাচনের দিন ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ওই দিনই কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করার কথা রয়েছে বিজেপির। ব্রিগেডের সভায় আসার কথা রয়েছে নমোর। তারও আগে চলতি মাসের শেষে ফের একবার বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায়-জেলায় রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এবারের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করাটা চ্যালেষ্ড জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। সই লক্ষেই দফা দফায় রাজ্যে আসছেন কমিশনের কর্তারা।

শুক্রবার ফের রাজ্যে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সহ্গে ফের একদফায় আলোচনা সারবেন তিনি। কোন কোন জায়গায় সংবেদনশীল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য রয়েছে কমিশনের হাতে। সেই জায়গাগুলিতে নিরাপত্তা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন সুদীপ জৈন। ইতিমধ্যেই রাজ্য ঘুরে ঘুরে ভোটপ্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।

জেলাশাসক, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। করোনাকালে এবার চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করাটা মস্ত চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে এবারের নির্বাচনে বুথের সংখ্যা বহু গুণে বাড়তে চলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।