কলকাতা: আজকাল মেকআপের বিস্তৃতি দেশ, রাজ্য ছাড়িয়ে গ্রামগুলির প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছেয়ে গিয়েছে। সেখানে নানাভাবে ব্যাখ্যা পেয়েছে মেকআপ। এখন প্রতিটি মেয়েই নিজের ফ্যাশনে মেকআপের সংজ্ঞা পাল্টেছে। মেকআপে তারা এখন নিজের অভিনব ছাপ রাখতে চায়। তাই অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয় তাদের। সেটা করতে গিয়ে আবার তারা ভুল করছেন না তো? এখানে প্রশ্নটা মেকআপ করায় নয়, প্রশ্ন উঠছে মেকআপ প্রোডাক্টগুলিকে নিয়ে। সেই প্রোডাক্টগুলি দীর্ঘক্ষণ আপনার ত্বকে থাকছে ও ত্বকের সঙ্গে মিশছে। তাই সেগুলিকে কেন্দ্র করে সেখান থেকে সুরক্ষা নিয়ে একটা ব্যাপার তো থেকেই যাচ্ছে। তাই নিজের প্রোডাক্টগুলি বিষাক্ত কিনা তা যাচাই করুন নিজেই। এমন কিছু বিষাক্ত জিনিস রয়েছে যা আমাদের মেকআপ প্রোডাক্টে থাকা অনুচিত।
করোনা পরবর্তী যুগে এখন আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা যেমন বেড়েছে, তেমনই বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের আগে সেগুলিকে স্যানিটাইজ করার প্রবণতাও বেড়েছে। কিন্তু বিউটি প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে শুধুই স্যানিটাইজ করলে কাজ হয় না। তাদের নিজস্ব কিছু নেগেটিভ প্রভাবও রয়েছে আমাদের স্কিনের উপর যা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এতে আমাদের এন্ডোক্রিন প্রক্রিয়া প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে হরমোনের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এর ফলে আমাদের শরীরে নানা অসুখ যেমন জ্বর, অনিয়মিত মাসিক, ক্যান্সার, টিউমারের মত মারণ রোগও হতে পারে। সবক্ষেত্রে এই কেমিক্যালগুলি এড়ানো যায় না। কিন্তু আপনারা এর ব্যবহার কমাতে পারেন।
১. ট্রাইক্লোসান: এটি একটি এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেটি এই মুহূর্তে কীটনাশক হিসেবে চিহ্নিত। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পক্ষে বিপুল ভাবে ক্ষতিকারক। এর থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়
২. ফ্যাথালেটস: এর সঙ্গে মিসক্যারেজ ও জন্মের সময়েই হওয়া নানা সমস্যার যোগাযোগ রয়েছে। ত্বকের অনেক কসমেটিকস-এ প্যারাবেন ব্যবহার করা হচ্ছে যা ব্রেস্ট টিউমারের জন্যে দায়ী মেয়েদের ক্ষেত্রে। হরমোনের অসামঞ্জস্য ও সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধিক্ষণ চলে আসাটাও দায়ী এর জন্যেই।
৩. এমডিএম হাইডেনসন ও ডায়াজোলিডিনল ইউরিয়া: এর থেকে নিঃসরণ হয় ফরম্যালডিহাইড যা পরীক্ষিতভাবে একটি কারসিনোজেন। এই টক্সিনের প্রভাবে ইনফেকশন, ক্লান্তি, অবসাদ হতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.