সরকার না গড়লেও অ্যাডভান্টেজ বিজেপি
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী পদত্যাগ করলেও বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকার গঠনের দাবি জানাবে না। এই আবহে ভোটের মুখে হয়ত রাষ্ট্রপতি শাসনই একমাত্র উপায় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বাংলার মতো তামিলনাড়ু, কেরালা, অসম ও পুদুচেরিতেও আসন্ন নির্বাচন। সেই আবহে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকলেও সেটা বিজেপির 'অ্যাডভান্টেজ' বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের পক্ষের বিধায়ক সংখ্যা কমে হয় ১২
আগেই চার জনের পদত্যাগের পর পুদুচেরিতে কংগ্রেস সরকারের সংখ্যা হয়েছিল ১৪৷ রবিবার শাসক জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান আরও দুই জন বিধায়ক। কংগ্রেসের কে লক্ষ্মীনারায়ণ ও জোটসঙ্গী ডিএমকে-র কে ভেঙ্কটেসন ইস্তফা দেওয়ার পর সরকারের পক্ষের বিধায়ক সংখ্যা হয়ে যায় ১২।
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছনোর জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ জন বিধায়ক
এদিকে, পুদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছনোর জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ জন বিধায়ক। অপরদিকে, এনআর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিপক্ষ জোটের ঝুলিতে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক। কংগ্রেস বিধায়ক লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, দলে ঠিকমতো সম্মান পাচ্ছিলেন না। তাঁকে মন্ত্রী বা স্পিকার বা দলের প্রধান - কোনও পদই দেওয়া হয়নি।
'কিরণ বেদী বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন'
সোমবার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে উঠে নারায়ণস্বামী বলেন, 'বিধায়কদের তাঁদের দলের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত। যে বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁরা আর মানুষের মুখোমুখি হতে পারবেন না। লোকে ওঁদের সুবিধেবাদী বলবে।' এ দিন নিজের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান ভি নারায়ণস্বামী। সরকার ফেলে দিতে প্রাক্তন লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর কিরণ বেদী বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।