নয়াদিল্লি : আকাশপথে শক্তি বাড়াল ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি নয়া মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডি-র হাতে তৈরি এই নতুন মিসাইল। সোমবার সফলভাবে উৎক্ষেপিত হল ভার্টিকাল লঞ্চ-শর্ট রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে VL-SRSAM। ভূমি থেকে আকাশ রেঞ্জের ছোট পাল্লার মিসাইল এটি। ওডিশার চাঁদিপুরের উপকূল থেকে এর পরীক্ষা হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য এটিকে তৈরি করা হয়েছে। কম দূরত্বের লক্ষ্য বস্তুতে নিখুঁত আঘাত করতে পারে VL-SRSAM। ট্রায়ালের সময় VL-SRSAM ওয়েপন কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এই মিসাইল তৈরির জন্য একযোগে কাজ করেছেন ডিআরডিওর বিভিন্ন ল্যাব, যেমন ডিআরডিএল, আরসিআই হায়দরাবাদ, পুনের আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়রস।

মিসাইলের পরীক্ষা চলাকালীন তার রেঞ্জ ও নিশানা পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছিল ফ্লাইট পাথ, ভেহিকল পারফরম্যান্স প্যারামিটার যন্ত্র। ফ্লাইট ডেটা, ক্যামেরায় ধরা পড়া নানা তথ্য পরীক্ষা করে এই মিসাইলের উৎক্ষেপণ সফল বলে ঘোষণা করা হয়। মিসাইলটির সফল পরীক্ষার পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও-র গোটা টিমকে অভিনন্দন জানান। ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান ডঃ জি সতীশ রেড্ডি জানান এটা টিম ওয়ার্ক। গোটা দলের সাফল্যের জন্য এই মিশন সফল হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুদিন আগেই চিন পাকিস্তানকে চমকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হল ভারতের গর্বের অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল হেলিনা। অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব থেকে উৎক্ষেপিত হয় হেলিনা। সফলভাবে ও নিখুঁত ভাবে তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।

শুক্রবার যেভাবে আকাশের বুক চিরে হেলিনা ছুটে গিয়েছে, তা রুদ্ধশ্বাস ভিডিও পোস্ট করে ডিআরডিও। বিবৃতি প্রকাশ করে ডিআরডিও জানায় হেলিনা থার্ড জেনারেশন অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল। মূলত এটি lock-on before launch fire-and-forget ধরণের মিসাইল। এর অর্থ এই মিসাইল একবার লঞ্চ করা হলে তা তার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল ভাবে আঘাত করতে সক্ষম।

২০২০ সালের শেষের দিকেই জানা যায় ১০০টি হেরন ড্রোন কেনার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অপেক্ষা অনুমোদনের। আকাশপথে শত্রুপক্ষকে আরও ধাক্কা দিতে অস্ত্র সম্ভার বাড়িয়ে শক্তি সঞ্চয়ের কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, ড্রোনগুলি লেসার বম্ব দিয়ে সাজানো থাকবে। অনেকদূর অবধি উড়তে সক্ষম এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল, ভারতীয় সেনা পাচ্ছে স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলও।

অনেক বছর থেকেই পেন্ডিং হয়ে আছে এই প্রস্তাব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উপর ক্রমাগত আক্রমণ বেড়েছে অনেক দেশের। ফলে আরও প্রতিরক্ষাক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আশাবাদী সকলে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।