মুম্বই: অবশেষে জামিন পেলেন ভারভারা রাও। কোরেগাঁও ভীমা মামলায় ২ বছর জেলে থাকার পর সোমবার জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ৮১ বছরের এই কবিকে ৬ মাস জামিন দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।

মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চলবে তাঁর চিকিৎসা। সেখানে তাঁকে ভর্তি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ নিয়েযে মহারাষ্ট্র সরকার। ভারভারা রাওকে আদালত মুম্বইতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাঁকে তদন্তে সাহায্য করতে হবে এমনও নির্দেশ রয়েছে তাঁর উপর। তাঁকে এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) আদালতে তাঁর পাসপোর্টও জমা করতে হয়েছে। তাঁকে ৫০ হাজার টাকার একটি ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হয়েছে। এছাড়া ওই একই টাকার দুটি জামানতও দিতে হয়েছে ভারভারা রাওকে।

২০১৮সালের ২৮ আগস্ট থেকে হেফাজতে রয়েছেন ভারভারা রাও। হাই কোর্ট জানিয়েছে যদি এখন তাঁকে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন না দেওয়া হয়, তবে তা হবে অমানবিক। আর এটি সম্পূর্ণভাবেই নাগরিকের জীবন ও স্বাস্থ্যের প্রশ্ন। ভারভারা রাওয়ের জামিনের পর তাঁর মেয়ে পাবনি জানিয়েছেন, “আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। আড়াই বছর পর এই মামলার কেউ অল্প বিস্তর স্বস্তিও পায়নি। এটাই ভীমা কোরেগাঁও মামলার প্রথম জামিন। আমরা খুব খুশি। একটাই মাত্র শর্ত আমাদের মুম্বইয়ের বাইরে গেলে চলবে না। সেই মতো আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব।” প্রসঙ্গত, এই মাসের গোড়ার দিকে ভারভারা রাওয়ের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং তাঁর স্বাস্থ্যের কথা তুলে বম্বে হাইকোর্টের কাছে জামিনের আবেদন করেছিল।

বছৎ দুই আগে অভিযোগ উঠেছিল, প্রমাণ ছাড়াই মাওবাদী ঘনিষ্ঠ কিছু বুদ্ধিজীবী জড়িত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের ষড়যন্ত্রে৷ শুধু তাই নয়, গত বছর পুনের কাছে ভীমা কোরেগাঁওতে দলিতদের জমায়েতে হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করার পিছনেও তারা জড়িত৷ ২০০ বছর আগে পেশোয়া বনাম ব্রিটিশদের মধ্যে সংঘর্ষে পেশোয়ার বিপক্ষে গিয়েছিলেন ভীমার দলিতরা৷ সেই ঘটনার বর্ষপূর্তি ঘিরে গতবছর ছড়ায় তীব্র হিংসা৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দেশজুড়ে চলে ধরাপকড়৷ তাতে গ্রেফতার করা হয়েছে মাওবাদী ঘনিষ্ঠ কবি ভারাভারা রাওকে। ৭৮ বছর বয়সী ভারাভারা-কে গ্রেফতারের ঘটনায় দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনার জেরে নিন্দের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বহু বুদ্ধিজীবী৷ তাঁদের অভিযোগ, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই অন্যায় ভেবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

জীবে প্রেম কি আদৌ থাকছে? কথা বলবেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অর্ক সরকার I।