শনিবার নতুন স্লোগান লঞ্চ করেছে তৃণমূল
২০২১-এর লড়াই বেশ শক্ত। মানুষের মন বুঝতে পারাও বেশ শক্ত। সরকারি সুবিধা আর উন্নয়ন দিয়েও যে মানুষের মন পাওয়া যায় না, তা এর আগে প্রমাণিত হয়েছে একাধিক রাজ্যে। সব থেকে বড় উদাহরণ অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ। অনেক সময় স্লোগানও কাত করে দিতে পারে বিরোধী শিবিরকে। যা একটা সময়ে হয়েছিল এই বাংলায়। ২০১১-র নির্বাচনে তৃণমূলের মা-মাটি-স্লোগান এই বাংলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবার বহিরাগত তত্ত্বকে নিশানা করে তৃণমূলের নতুন স্লোগান বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। যা নিয়ে তৃণমূল শিবিরকে কটাক্ষ করেছে রাজনৈতিক বিরোধীরা। সামিল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
বাংলার মেয়েদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন মোদীর
এদিন হুগলির ডানলপের সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলার মেয়েদের কথা বলেছেন। তবে তিনি তৃণমূলের নতুন স্লোগানের কথা কোথাও বলেননি। তিনি দাবি করেছেন বাংলার মেয়েরা দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্প রাজ্যে সঠিক ভাবে চালু না করার অভিযোগ তিনি তুলেছেন। প্রশ্ন করেছেন, বাংলার মেয়েদের কি শুদ্ধ জল পাওয়ার অধিকার নেই?
অশোক ভট্টাচার্যের নিশানা
এদিন তৃণমূলের স্লোগান নিয়ে ঘাসফুল নেতৃত্ব এবং প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিধানচন্দ্র রায় থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সবাই ছিলেন বাংলার মানুষ। তাঁরা কেউই অন্য জায়গা থেকে এসে ভোটে লড়াই করেননি। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালিয়ানা নিয়ে কি কোনও সন্দেহ আছে? প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকার কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এই একটা স্লোগান লিখতেই কয়েক কোটি টাকা। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়, এ কেমন স্লোগান হল। শুধু এই কথা লেখার জন্য কোটি কোটি টাকা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কি? তৃণমূলের স্লোগান পরিবর্তন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
সূর্যকান্তের কটাক্ষ
শুধু এদিনই নয়, রবিবার জামালপুরের সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তৃণমূলের স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বাংলার দিদি ভোটের আগে বাংলার মেয়ে হতে চাইছেন। ঐশী ঘোষ, মীনাক্ষী মুখার্জিরাও বাংলা মেয়ে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি সূর্যকান্ত মিশ্র কটা করতে গিয়ে বলেছিলেন, উনি ভাইপোর পিসি, সবার পিসি নন।