দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শীতল সর্দার
হাওড়ার সাঁকরাইলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শীতল সর্দার। তাঁর মুখেই কিনা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিহির গোস্বামী, দীপক হালদার কিংবা শীলভদ্র দত্তদের সুর। তিনি অভিযোগ করেছেন, দলের কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না। শুধু তিনিই নন, ডাকা হয় না হাওড়া গ্রামীনের সভাপতি পুলক রায়কেও। সম্প্রতি ডুমুরজলায় তৃণমূল যে কর্মসূচি নিয়েছিলে, সেখানে তাঁকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শীতল সর্দার। একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। ফোন পেলেই তিনি চলে যেতেন বলেও জানিয়েছেন শীতল সর্দার।
অভিযোগ ঠিক নয় বলেছেন অরূপ রায়
তবে দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক শীতল সর্দারের অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। তিনি দাবি করেছেন, সব সভাতেই ডাকা হয়। তবে তিনি গ্রামীণ এলাকায় থাকেন বলেও অসুবিধা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়াও হাওড়া গ্রামীনের দায়িত্ব পুলক রায়ের ওপরে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন অরূপ রায়।
একের পর এক মন্ত্রী বিধায়ক দল ছেড়েছেন
হাওড়া এমন একটি জেলা যে জেলায় একের পর এক মন্ত্রী, বিধায়ক তৃণমূল ছেড়েছেন। যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। যাঁদের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এরপরেই আসে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। এছাড়াও বিজেপিতে যোগদানকারীদের তালিকায় রয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীও। তবে লক্ষ্মীরতন শুক্লা তৃণমূল ছাড়ার কথা জানালেও এখনও অন্য কোনও দলে যোগ দেননি। তবে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় দাবি করেছেন, তৃণমূল ১৬ টির মধ্যে ১৬ টি আসনই দখল করবে।
হাওড়ায় তৃণমূলের অবস্থা
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়ার ১৬ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একটি আসনে এগিয়ে ছিল বাম কংগ্রেস জোট। এন্যদিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভার ফলাফল দেখলে দেখা যাবে তৃণমূল ১৬ টি বিধানসভার মধ্যে ১৫ টিতে এগিয়ে ছিল। তবে আগেকার ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছিল বিজেপি। অন্য একটি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বৈশালী ডালমিয়ার কেন্দ্র বালিতে তৃণমূল এগিয়ে ছিল মাত্র ২৯৫ ভোটে। লোকসভা ভোটে উত্তর হাওড়ায় তৃণমূল পিছিয়ে ছিল প্রায় ২৯০০ ভোটে। উত্তর হাওড়ার ১৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬ টিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।