স্টাফ রিপোর্টার, বোলপুর: ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বভারতীতে পাঠরত বাংলাদেশের পড়ুয়ারা মাতৃভাষা দিবস পালন করলেন। রবিবার সকালে শান্তিনিকেতনের পথে শুনতে পাওয়া গেল, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি। তাঁদের সঙ্গেই পা মেলালেন বিশ্বভারতীর অন্য পড়ুয়ারাও। ২১ ফেব্রুয়ারির সকালে গান গাইতে গাইতে এসে শহিদবেদিতে ফুল ও মালা দেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রঙের ছোঁয়া লেগেছে শান্তিনিকেতনে ৷ ভাষা আন্দোলনের এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে বিশ্বভারতীকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে৷ বাংলাদেশ ভবনে শহিদবেদির সামনে আলপনা দিলেন একদল বাংলাদেশি পড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে একই উদ্যম নিয়ে কাজ করলেন এ দেশের পড়ুয়ারাও।
বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের এক বাংলাদেশি ছাত্রী বলেন, ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের শহিদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এক বিরাট প্রাপ্তি। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশের পড়ুয়ারা সম্মিলিতভাবে এই দিনটি উদযাপন করলেন।
ইতিহাস বলছে, ভাষা নিয়ে ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে আন্দোলন শুরু হয়। ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বরের জন্মস্থান ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁও উপজেলা থেকে ওঠে এই দাবি ৷ সে বছর স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গফুরগাঁও থিয়েটার’ ঐ দাবির পক্ষে শোভাযাত্রা বের করে ৷ ‘বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস চাই, একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই’ স্লোগানও তোলে তাঁরা ৷ এলাকার বিভিন্ন দেওয়াল, বাস ও ট্রেনে পোস্টার লাগানো হয় ৷ ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে একটি আন্দোলন হলেও ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চরম প্রকাশ ঘটে। ওই দিন সকালে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ গুলি চালায়। বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করে ২১ ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, বরকতরা শহিদ হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর থেকেই সারাবিশ্বে শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি উদযাপিত হয়। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় ‘অমর একুশে’। একই ভাবে বিশ্বভারতীতেও দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
এবার করোনা মহামারীর আবহে ঢাকাতেও ম্লান হয়েছে অমর একুশের উদযাপন। সীমিত পরিসরে প্রভাতফেরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংক্রমণ রুখতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কার্যক্রম কাটছাঁট করা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.