বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ সার্ভিসেস। জয়ের জন্য সার্ভিসেসের সামনে রানের ৩১৬ লক্ষ্যমাত্রা রাখল বাংলা। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল সার্ভিসেস। বাংলা এই ম্যাচে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে প্রথম একাদশে রাখেনি। তিনে ব্যাট করতে নামেন ভারতীয় শিবির থেকে ফেরা বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। তবে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলার হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে ভরসা দিলেন কাইফ আহমেদ। গত মাসেই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে তাঁর বাংলা দলে অভিষেক হয়। তামিলনাড়ু ম্যাচে অপরাজিত ৬৩ করেছিলেন। আর এদিন তিনি দলের হায়েস্ট স্কোরার। অনুষ্টুপ ও কাইফের দুরন্ত অর্ধশতরানে ভর করে ৫০ ওভারে বাংলা ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ৩১৫ রান।
ওপেন করতে নেমে বাংলার শুরুটা ভালোই করেন শ্রীবৎস গোস্বামী ও বিবেক সিং। ১৭তম ওভারে দলের একাত্তর রানের মাথায় শ্রীবৎস আউট হন ২৮ রান করে। এর দুই বল পরেই রান আউট হন অপর ওপেনার বিবেক, করেন ৩৯। সেখান থেকে অভিমন্যু ঈশ্বরনকে নিয়ে দলের রান এগিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা ৯২ রান যোগ করেন। ৬টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৬১ বলে ৫৮ রান করে আউট হন অনুষ্টুপ। ৪০তম ওভারে ২০৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলা। ঈশ্বরন ব্যক্তিগত ৩৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর কাইফ ও শাহবাজ জুটি ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৪৫তম ওভারে বাংলার পঞ্চম উইকেট পড়ে ২৪৭ রানের মাথায়। ১৮ বলে ২৫ রান করে ফেরেন শাহবাজ আহমেদ।
এরপর ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করে বাংলার তিনশো রান পেরিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করেন কাইফ। ৪৯তম ওভারে দলের ২৮৯ রানের মাথায় আউট হন তিনি। ১১টি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৫৩ বলে ৭৫ রান করেন কাইফ। বাংলাকে তিনশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও অর্ণব নন্দী। ঋত্ত্বিক ১১ বলে ২০ ও অর্ণব ৬ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।