শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট-এর সঙ্গে জোট করার মানে মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে জোট করা বা তাদের প্রশ্রয় দেওয়া নয় বলে মনে করে সিপিএম। আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে সিপিএম-এর নির্বাচনী জোট নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও বিজেপি-র তরফে কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে সিপিএম এখন মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে । কিন্তু সিপিএম-এর যুক্তি আলাদা। তারা বলছে সংখ্যালঘু নামেই মৌলবাদী এটা কে বললো? আর কোনও মৌলবাদী শক্তি যদি দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা দেখাতে চায়, তাহলে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া কী অন্যায়?

এই প্রসঙ্গে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেন, “দেশের সব রাজনৈতিক দলেই মুসলমান প্রতিনিধি আছেন। তার মানে সব রাজনৈতিক দলই মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে? এটা কী ঠিক? একদম নয়। এবার এই সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে কেউ যদি একটা রাজনৈতিক দল গঠন করে দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সংবিধান রক্ষার জন্য, বাম ও গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে জোট করতে চায় সেটা কী অন্যায়? আর এই সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যদি বামপন্থীরা জোট করে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাতে মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া হলো কী করে? আব্বাসের দল চাইছে দেশের অখণ্ডতার প্রশ্নে আমাদের সঙ্গে জোট করে ভোটে যেতে । তাদের আমরা সুযোগ দিলে মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া হয় কী করে?”

রবীন দেব বলেন, “এক সময় ২০১১ সালে কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে বামফ্রন্টকে পরাজিত করেছিল। সেই কংগ্রেস এখন বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের আর বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা কী কংগ্রেসকে সঙ্গে নেবো না?”

তবে আব্বাসের দলের সঙ্গে সিপিএম-এর জোট হয়ে গেছে বললে ভুল হবে না। কংগ্রেসও আব্বাসের সঙ্গে জোটের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে। তাই বিজেপি ও তৃণমূল এই জোটের বিরুদ্ধে জনমানসে অপপ্রচার করছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ নেই, এটাই বাম ও কংগ্রেস নেতাদের মত। হুগলিতে শনিবার আব্বাস, কংগ্রেস ও সিপিএম-এর বৈঠকে জোট নিয়ে যাবতীয় সঙ্কট কেটে গেছে বলে সিপিএম-এর দাবি । তাই তৃণমূল ও বিজেপি এখন ভয় পাচ্ছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। এটাই সিপিএম-এর দাবি ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।