তবে ১ লা মার্চ ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা
১৬ তারিখের পরেই হয়তো ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে বলে জোর জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিকমহলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভোট ঘোষণা নিয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আগামিকাল সোমবার দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন হওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৮ তারিখ ফের বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। শোনা যাচ্ছে, সেদিন বাংলার জন্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি, প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ২৮ তারিখের আগে ভোট ঘোষণা হবে না বলেই ধরে নিচ্ছে ওয়াকিবহালমহল। আর সেদিন মাসের শেষ। ফলে সূত্রের খবর, সোমবার অর্থাৎ ১ লা মার্চ ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে ভোটগ্রহণ
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হতে পারে ৭ দফায়। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে ভোটগ্রহণ। অর্থাৎ এপ্রিলের শুরুতেই প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হতে পারে। সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০ মে র আগেই বাংলায় ভোট পক্রিয়া শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতোই কমিশন গোটা বাংলাকে ভাগ করছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই চলবে ভোট গ্রহণ। ফলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে।
বাংলায় ভোটের দামামা
ইতিমধ্যে বাংলায় ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও যাবতীয় প্রক্রিয়া আগেভাগে শেষ করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একাধিকবারবার বৈঠক হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে কমিশন। অন্তত পুরানো অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ফলে সুষ্ঠ এবং অবাধ নির্বাচন করানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর তা করতে নবান্নে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। যেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, একই জায়গায় তিনবছর কাজ করছে এমন অফিসারকে সরাতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে চলছে ব্যাপক রদবদল
ভোটের আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
এখনও ভোট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু ভোটের আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৫ কোম্পানি বাহিনী শনিবার সকালেই রাজ্যে পা রেখেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার কথা। ইতিমধ্যে স্পর্শকাতর সমস্ত অঞ্চলে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজও শুরু করেছে তাঁরা। বিরোধীদের দাবি মেনেই বাংলায় আগেভাগে চলে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।