নয়াদিল্লি : লকডাউন আশির্বাদ হয়ে এসেছে ভারতীয়দের কাছে। অন্তত পরিবেশ দূষণের প্রেক্ষিতে। সমীক্ষা বলছে লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি থাকার ফলে গঙ্গার জল যেভাবে পরিষ্কার হয়েছে, তা অভাবনীয়। প্রায় ৫০ শতাংশ ভারী ধাতু বর্জ্যের পরিমাণ কমেছে গঙ্গায়, জানাচ্ছে এই সমীক্ষা।

কানপুর আইআইটির করা এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তা পরিবেশের কাছে সুফল এনেছে।

গঙ্গার জল পরিষ্কার হয়েছে বহুলাংশে। শুধু তাই নয়, কল কারখানা বন্ধ থাকার ফলে ভারী ধাতু বর্জ্যের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কম বলে জানা গিয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে এই উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গবেষকরা বলছেন যে ভারী ধাতু বর্জ্য গঙ্গার জলে দূষণ ছড়াত, তাতে থাকত ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, লেড, পারদ, লোহা, নিকেল, জিঙ্কের মত উপাদান। যার পরিমাণ লকডাউনের সময়ে কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

সমীক্ষকদের দাবি গঙ্গা দূষণের এক দশমাংশ আসে শিল্প থেকে। তাই যেহেতু শিল্পোৎপাদন বন্ধ ছিল, ফলে দূষণও কমেছে লক্ষ্যণীয় হারে। এরআগে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়ে ছিলেন এই তথ্য। কানপুর আইআইটির তরফে অধ্যাপক ইন্দ্র শেখর জানান, লকডাউন চলাকালীন এই গবেষণা চালিয়ে ছিলেন তারা। বেশ ফল পেয়েছেন। গঙ্গাকে এত পরিষ্কার বেশ কয়েক দশক ধরে দেখা যায়নি। মেটালিক বা ধাতব উপাদানের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এসেছে লকডাউনের জেরে।

এর আগে, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা স্যাটেলাইট সেনসর পর্যবেক্ষণের পরে জানিয়ে ছিল, করোনা ভাইরাসে লাগাম টানতে দেশব্যাপী লকডাউনে বাতাসে ধূলিকণা, ধোঁয়াশার পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০ বছরে সবচেয়ে কম হয়েছে ভারতে।

নাসায় মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে ইউনিভার্সিটিজ স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞানী পবন গুপ্ত জানিয়ে ছিলেন, “আমরা আগে থেকেই জানতাম যে বিভিন্ন জায়গায় বায়ুমণ্ডলের এই বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাবে”। আরও বলেছেন, “বছরের এইরকম সময়ে গাঙ্গেয়-ভারতে অ্যারোসল লেভেল এতটা কম কখনও দেখিনি”।

দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার অ্যাকটিং অ্যাসিসেন্ট সেক্রেটারি অ্যালিস জি ওয়েলস ট্যুইট করে জানান, “২০১৬ সালের বসন্তকালে তোলা কিছু ছবি যেখানে দেখা গিয়েছে, ২০ বছরে ভারতের বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ সবচেয়ে কম। ভারত সহ গোটা পৃথিবী যখন আবারও একসঙ্গে কাজ করতে এবং ট্রাভেল করতে শুরু করবে তখন মনে রাখা দরকার যে একসঙ্গে কাজ করলে বাতাস দূষণমুক্ত হতে পারে”।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।