বল পড়ার অপেক্ষায় বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লম্বা শাহরুখ অপেক্ষায় মহাকীর্তির
আমেদাবাদের মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সংস্কারের পর নবরূপে সজ্জিত এই স্টেডিয়াম এখন বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়ামেই এবার এক মহাকীর্তির অপেক্ষায় ভারতীয় পেসার। কপিল দেবের পর দ্বিতীয় পেসার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার মুখে দাঁড়িয়ে ইশান্ত শর্মা।

আশির দশকের গোড়ায় মোতেরা স্টেডিয়াম তৈরি হলেও গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আমূল সংস্কার কাজ চলেছে। নবরূপে সজ্জিত মোতেরা এখন বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১ লক্ষ ১০ হাজার দর্শকাসন রয়েছে। তবে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের জন্য ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনেক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মোতেরায় ফেরায় আগ্রহ তুঙ্গে, টিকিট নিঃশেষিত। দুটি টেস্টের পর যে টি ২০ সিরিজ এখানে হবে তার টিকিট নিয়েও হাহাকার অব্যাহত।
এই মাঠেই শততম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় ইশান্ত শর্মা। ২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেক। প্রথম ৭৯টি টেস্টে নেন ২২৬ উইকেট। শেষ ২০টি টেস্টে তাঁর ঝুলিতে ৭৬টি উইকেট। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নিজেকে কতটা উন্নত করেছেন ভারতের এই পেসার। চোটের কারণে বছর দুয়েক ধরে ৫টি টেস্ট যদি খেলতে পারতেন তবে আগেই শততম টেস্ট খেলার কৃতিত্ব অর্জন করতেন ইশান্ত শর্মা। ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার বিজয় দাহিয়া মনে করেন, যেহেতু এখনকার ফাস্ট বোলাররা আইপিএল বা সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখেন, ফলে ইশান্তের পর আর কোনও ভারতীয় পেসার শততম টেস্ট খেলবেন বলে মনে হয় না। এখনও বছর ৩৩-এর ইশান্ত ২০ ওভার বল করতে পারেন দিনে, গতি থাকে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তাঁর গতি আর বাউন্সে উইকেটকিপিং করা সহজ নয় বলে জানিয়ে দাহিয়া বলেন, আমি ওকে মজা করে বলি তোমার জন্যই আমাকে তাড়াতাড়ি অবসর নিতে হলো। তোমার বলে উইকেটকিপিং করতে গিয়ে বারবার বুঝতে পারতাম আমার বয়স বাড়ছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি ইশান্তকে যেভাবে ব্যবহার করতেন তার প্রশংসা করেছেন দাহিয়া।
বিরাট কোহলি যখন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন ইশান্ত টেস্ট ক্রিকেটার। সেই ইশান্তই এবার বিরাটের অধিনায়কত্বে মহাকীর্তি গড়ার অপেক্ষায়। ১৬ বছর ধরে ইশান্তের সতীর্থ তথা দিল্লির অধিনায়ক প্রদীপ সাঙ্গোয়ান বলেন, অনূর্ধ্ব ১৭-র অনুশীলনে ইশান্তকে দেখে আমরা বলতাম লম্বা শাহরুখ এসে গিয়েছে। এত উচ্চতার পেসার যে গতিতে বোলিং করত তা দেখেই বোঝা গিয়েছিল ইশান্তের মধ্যে সত্যিই স্পেশাল কিছু রয়েছে। কঠোর পরিশ্রম আর ফিটনেসে জোর দিয়েই ইশান্ত আজ এই জায়গায় এসেছে। আট-নয় ওভার ধরে টানা এক গতিতে জোরে বল করা সহজ কথা নয়।