আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে আমরা এমন কিছু রেয়ার ট্যালেন্ট দেখতে পাই যারা অত্যন্ত ট্যালেন্টেড হওয়ার পরেও কোথাও যেন হারিয়ে যায় বা হয়তো নিজেরাই নিজেদের সরিয়ে নেয় সমস্ত ধরনের ধরনের প্রচারের আলো থেকে। তাদেরই হারিয়ে যাওয়ার কারণটা আমাদের কাছে জানা থাকে আবার কখনো জানা থাকে না।
পেজ থ্রির পাতা অথবা সংবাদমাধ্যম তাদের খবর পৌঁছে দিতে পারে না দর্শকদের কাছে বা পাঠকদের কাছে।
উনি একজন লেখক স্মরণজিৎ। যাঁর লেখা ৪টি উপন্যাস ইতিমধ্যেই পাঠকের মন জয় করেছে। তবে হঠাৎই তিনি কলম ছেড়ে দেন। সব ধরনের প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেই স্মরণজিৎ। স্মরণজিৎ এর গল্প নিয়েই আসতে চলেছে পরিচালক অর্পণ বসাকের শর্ট থ্রিলার ‘মালিনী’।
১৯ বছরের সুপ্রতিম সাহাকে দেখা যাবে ২৭ বছরের স্মরণজিতের ভূমিকায় অভিনয় করতে। ছবিতে তাঁর মেক-আপে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। বহুদিন পর ঋ অর্থাৎ ঋতুপর্ণা সেনকে দেখা যাবে শ্রীময়ীর চরিত্রে। যাঁর সাংবাদিক সত্ত্বাই শেষ পর্যন্ত স্মরণজিতের খোঁজ পাবে। ছবিতে দেখা যাবে সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়কেও। নতুন প্রজন্মের পরিচালক, লেখক এবং অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত সুজয়।
এছাড়াও আনন্দ চৌধুরী এবং ঐশীকে দেখা যাবে ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। ছবিটির গল্প ও পরিচালক অর্পণ বসাক। সিনেমাটোগ্রাফার অনুভব চট্টোপাধ্যায় এবং প্রযোজক বিশ্বজিত কুমার। ইতিমধ্যে ‘মালিনী’ “Disney+Hotstar” থেকে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে ৷
এই গল্পের মূলে রয়েছেন স্মরণজিত নামে ২৭ বছরের এক লেখকের জীবন। যাঁর লেখা ৪টি উপন্যাস পাঠকের মন জয় করেছে। স্মরণজিতের একটি গল্পের নাম ‘মালিনী’। পাঠকের মনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরই আচমকা মন বদল করেন লেখক। নিজেকে ‘মেথড অভিনেতা’ মনে করেন তিনি। কিন্তু এর পরই হঠাৎ হারিয়ে যান স্মরণজিত। দীর্ঘদিন তাঁর কোনও লেখা, এমনকী তাঁকেও কোথাও দেখা যায়নি। গ্ল্যামার ও গ্লিটারের এই দুনিয়া ছেড়ে আচমকাই তাঁর এমন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন জাগে অনেকের মনেই।
বহুদিন পর এক সাংবাদিক একটি গল্পের খোঁজে স্মরণজিতকে খুঁজে বের করেন। তাঁর একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেন। কী হয়েছিল স্মরণজিতের সঙ্গে? মালিনী কে ছিলেন? এই সব প্রশ্নের খোঁজ শুরু হয়। একজন সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে গল্পে তৈরি হবে টান টান উত্তেজনা। প্রশ্ন-উত্তরের ভিড়ে এই শটফিলন দর্শকের মন জয় করবেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.