নয়াদিল্লি: এবার MBBS-এ ভর্তি হতে গেলে সেকেন্ডারি লেভেলে বায়োলজি বা বায়োলজিক্যাল সায়েন্স থাকতে হবে। তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা থাকলেই হবে না। থাকলে হবে ব্যবহারিক জ্ঞানও। তবেই MBBS-এর যোগ্যতা অর্জন করা যাবে। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। কালোজি নারায়ণ রাও ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স তেলাঙ্গানা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করছিল। সেই মামলাতেই এই রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। উচ্চ আদালত একজন শিক্ষার্থীর এই মতামতকে মঞ্জুরি দিয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে তাকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে পড়াশুনার রেকর্ড উপস্থাপন করে না বলে এই আইন অবৈধভাবে তাকে অস্বীকার করেছিল।

কী নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল তেলাঙ্গানা হাই কোর্টে? জানা গিয়েছে, একজন ছাত্রী ২০২০-২১ অর্থবর্ষে MBBS কোর্সে ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রয়োজনীয় পাঠ্য বিষয় নিয়ে কোনও তথ্য জমা দেননি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু হাই কোর্টের তরফে ওই ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার কথা বলা হয়। হাই কোর্টের এই অর্ডারকে খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে MBBS পড়তে গেলে সেকেন্ডারিতে বায়োলজি বা বায়োলজিক্যাল সায়েন্স থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ছাত্র বা ছাত্রীর পুঁথিগত ও ব্যবহারিক জ্ঞান থাকতে হবে।

বিচারপতি ভাট, যিনি সাম্প্রতিকতম রায়টি লিখেছেন, তিনি এক্ষেত্রে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া রেগুলেশনস অন গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অফ ১৯৯৭ এর ৪ তম রেগুলেশনের কথা উল্লেখ করেছেন। যেটি MBBS-এর যোগ্যতার নিরিখে নির্ধারিত। এখানে বলা হয়েছে MBBS-এর আবেদন করতে গেলে প্রার্থীর ১০+২ স্টেজে (বা ইন্টারমিডিয়েট কোর্স) ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি বা বায়ো-টেকনোলজি থাকতে হবে। এখানে এও বলা হয়েছে প্রার্থীকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট কোর্স বা গ্র্যাজুয়েশনের প্রথম বর্ষ পাশ করতে হবে। পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকাও প্রয়োজন। এছাড়া প্রার্থীর ইংরেজি ভাষাও বিষয়ের মধ্য়ে থাকা বাধ্যতামূলক।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।