নোটিশ নিয়ে অভিষেকের প্রতিক্রিয়া
সিবিআই-এর পাঁচ আধিকারিক এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ দিতে গিয়েছিলেন। তবে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অভিষেক কিংবা তাঁর স্ত্রী রুজিরা। নোটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিষেক বলেছেন, আইনের ওপরে তাঁদের ভরসা রয়েছে। এসব করে কেউ তাঁকে ভয় দেখাতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কেউ যদি ভেবে থাকে এসব করে ভয় দেখাবে, তাহলে তারা ভুল করছেন, তিনিও পিছু হটবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন টুইটে।
শুভেন্দুর নিশানা অভিষেককে
এদিন বিষয়টি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, লালাবাবুর টাকা ঢুকেছে। টাকা বিদেশে গিয়েছে। শুধু থাইল্যান্ডে নয়, আরও অনেক জায়গায় গিয়েছে। কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তোলাবাজ ভাইপো যেন এখনই ফাঁসির মঞ্চে না যান। তিনি এটাই অনুরোধ করছেন। কেননা এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু বলেছেন, তারা চান মানুষ দেখুক। অন্যায় আর পাপের শাস্তি হবেই। এর বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তাঁর পিছনে ইডি, সিবিআই লাগাতে হবে না। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে ভাইপো তোলাবাজে যুক্ত তাহলে তিনি বিরোধীদের তৈরি ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুবরণ করবেন।
একাধিক সভায় নাম না করে আক্রমণ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে একাধিক সভায় নাম না করে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় কাগজ তুলে ধরে প্রশ্ন করেছিলেন ম্যাডাম নারুলা কে। এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, লালা, অনুপ মাঝিদের টাকা কারা নিত আর তা যে তোলাবাজ ভাইপোর বাড়িতে গিয়েছে তা সবাই জানে। এব্যাপারে তিনি তমলুক আর বারুইপুরের সভার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তমলুকের সভায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককের কাশিকর্ন ব্যাঙ্কের এক শাখায় টাকা জমা পড়ত। আর বারুইপুরের সভায় তিনি প্রমাণ দেখিয়েছিলেন।
কান টানলে মাথা আসবে, বলেছেন বাবুল
এদিন আসানসোলে পরিবর্তন যাত্রায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েছেন, সেখানকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে বাবুল বলেছেন, তিনি তিনবছর আগেই বলেছেন, বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে। সিবিআই তার কাজ করুক। কান টানলে মাথা আসবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।