‘মধু’ নামটা শুনলেই প্রথমেই যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিষ্টতার একটি ছবি। মধু যেমন মিষ্টি পানীয় তেমনই ভীষণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক জিনিসও বটে। খাদ্যের স্বাদ বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে ঔষধি গুণে ভরপুর এই মধু। কথায় বলে, ”মধু খেলে মুখের ভাষা মিষ্টি হয়।”
কথাটা কতটা সত্যি তা অবশ্য হলফ করে বলা সম্ভব নয়। তবে মধু যে নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর তা বলাই বাহুল্য। ছোটো বাচ্চা থেকে শুরু করে বাড়ির বয়স্ক মানুষদের যদি প্রতিদিন নিয়ম করে এক চামচ মধু খাওয়ানো যেতে পারে তাহলে উপকারটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে রুপচর্চার পাশাপাশি মধুকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে। আজও বাচ্চাদের সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগলে প্রাথমিক চিকিৎসায় মধুকে ওষুধ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়।
তাহলে আসুন একটু জেনে নিই নিয়মিত মধু ব্যবহারে কোন কোন রোগ গুলিকে দূরে রাখা যায়।
১. কাশি : – যাদের বারো মাসই কাশির ধাত আছে তাদের জন্য মধু ভীষন উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। মধুতে থাকা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া সর্দি কাশি থেকে রেহাই দেয়। সুতরাং সর্দি কাশি বা গলা খুস খুস ভাব হলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আদার রসে একচামচ মধু মিশিয়ে খান। সকালে উঠলেই তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
২. কাঁটাছেড়া বা ক্ষতস্থানের ঘা শুকোতে মধুর ভূমিকা অনবদ্য। কারণ মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া ক্ষতস্থান শুকোতে সাহায্য করে। দেহের কোনও অংশে কেটে ছুঁলে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে মধু লাগালে উপশম পাওয়া যায়। তবে গুরুতর আঘাত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩. সপ্তাহে ৩/৪ দিন মুখে ত্বকে মধু লাগালে ময়েশ্চারাইজারের কাজ হয়। মরা কোশ নষ্ট করে দিয়ে ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এই মধু। এছাড়াও মুখে মধু মাখলে ব্রণ, ত্বকের যেকোনও ফুসকুড়ি থেকে রেহাই মেলে।
৪.অনিদ্রা জনিত রোগে মধু খাওয়া খুব উপকারী। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। ঘুমের জন্য ওষুধও খান। তবে এবার থেকে সেসব ছাড়ুন। নিয়মিত রাতে শোওয়ার আগে গরম দুধে মধু মিশিয়ে খান ঘুমের ঢল নেমে আসবে আপনার চোখে।
৫. মধু দিয়ে ঠোঁটের যত্ন নিন। কোমল মোলায়েম ত্বক এবং ঠোঁট পেতে হলে সবুজ শাকসবজি, প্রচুর জল পান ছাড়াও নিয়মিত মধু দিয়ে ত্বক ও ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজনে মধুকে স্ক্র্যাব হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন মধু দিয়ে ত্বকের যত্ন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.