সকাল হলে চোখ খুলেই প্রথম চিন্তা আমাদের আজ কী কী কাজ করতে হবে। অথচ আমরা একবারও ঘুম থেকে উঠে ভাবিনা যে আমরা পৃথিবীতে আরো একটা দিন বেশি বেঁচে গেলাম প্রাণ খুলে প্রশ্বাস নেওয়ার জন্যে। ডাক্তার থেকে শুরু করে বিউটি থেরাপিস্টরাও অনেক ধরণের কৌশল বলে শরীর ও মনকে ফিট রাখতে। তবে সকালের কিছু অভ্যাস কিন্তু এসেছে আমাদের সেই পুরোনো বৈদিক যুগের অভ্যেস ও নিয়ম থেকেই।

১. সূর্যিমামা ঘুম থেকে ওঠার আগেই উঠে পড়ুন আপনি। ভোর ৪টে থেকে ৬টার মধ্যে উঠতে পারলে খুব ভালো। নিজেকে আগে জড়তা থেকে কাটান ও মাথা ঠান্ডা করুন। এই সময়ে মনে করা হয় বাতাস থাকে সবথেকে বিশুদ্ধ। এতে মাথা ফ্রেশ থাকে ও সারাদিনের কাজ করা শক্তি পাওয়া যায়। তাই জনকোলাহলমুক্ত শহরে নিজেকে আবিষ্কার করতে এর থেকে ভালো সময় আর কখন পাবেন?

২. ঘুম থেকে উঠেই নীচে নামবেন না। আগে চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলুন। মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। সাথে সাথে গলা থেকে ঘাড় অবধি আস্তে আস্তে ঘোরান। হাতের তালু ঘষুন। সেই তাপ দিন চোখে। একটা শান্ত ও স্নিগ্ধ ভাব অনুভব করবেন আপনি।

৩. দুই গ্লাস জল পান করুন। তামার পাত্রে পান করবেন জল। এটি শরীরকে ডিটক্স করবে। ফলে হজমক্রিয়া স্বাভাবিক হবে। এবার ওই জল দিয়ে আপনার মুখ গার্গেল করুন। ব্রাশ করে পরিষ্কার জামা পরুন। সাধারণ তাপমাত্রার জল দেবেন মুখে। গোলাপ জল থাকলে সেটাও দিতে পারেন।

৪. এবার এক চামচ নারকেল তেল খেয়ে ফেলুন। গন্ধ খারাপ লাগলেও দাঁত, মাড়ি শক্ত করে এটি। অবশ্যই যোগা, মেডিটেশন বা শরীরচর্চা করুন। ওম শব্দ উচ্চারণ করে দিন শুরু করলে শরীর ভেতর থেকে শান্ত হয় ও কাজ করার শক্তি আসে প্রাকৃতিকভাবেই। এগুলিতে মেদ কম হয় ও সজীব হন। সমস্ত দরজা ও জানলা খুলে দেবেন এই সময়ে। এতে ঘরেও পজিটিভ শক্তি আসবে ও আপনিও সুস্থ থাকবেন মানসিক ও শারীরিকভাবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।