বিধানসভা ভোটের আগেই রাজনৈতিক ডামাডোল অব্যাহত পদুচেরিতে। এদিকে কয়েকদিন আগেই ৪ বিধায়ক পদত্যাগ করায় বেকায়দায় পড়ে শাসকদল কংগ্রেস। এমতাবস্থায় আগামী সোমবার অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি পদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছেন পদুচেরির লেফট্যানেন্ট গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দররাজন। কিন্তু চার আগেই আরও চাপে কংগ্রেস। চরম সঙ্কটের মুখেই রবিবার দল ছাড়লেন আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক।
এমনকী এই ইস্তফার জেরে ভোটের মুখে সরকার পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র চাপানৌতর পদুচেরির রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে সমস্ত দলত্যাগীদের মধ্যে আবার রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক এ জন কুমার।এদিকে এদিন আবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন প্রাক্তন কংগ্রেস কে লক্ষ্মীনারায়ণ। বিধানসভা স্পিকার ভি পি সিভাকলুন্ধুর কাছেই রবিবার পদত্যাগ পত্র জমা দেন রাজভবন নির্বাচনী এলাকার এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি-র চক্রান্তেই রাজ্যে একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দিচ্ছেন। ৩০ আসনের পুদুচেরি বিধানসভার ২০১৬ সালের ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল ১৫টি আসন। এনআর কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল ৮টি। পাশাপাশি এআইএডিএমকে ৪টি, ডিএমকে ২টি এবং ১টিতে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী। যদিও ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৬। এই ক্ষেত্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যায় ডিএমকে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগের জেরে বর্তমানে গোটা রাজ্য কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে পদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর সরকার।
মোদীর হাত ধরেই ছুটবে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো, সম্ভবত থাকছেন না মমতা