অগ্নিগর্ভ মায়ানমার, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মায়ানমার সেনার পেজ মুছে দিল ফেসবুক

চলতি মাসের শুরু থেকেই সেনা অভ্যুত্থানের জের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মায়ানমারে। বন্দি হয়ে রয়েছেন আং সান সুকি থেকে শুরু করে মায়ানমার গণতান্ত্রিক সরকারের একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। একবছরের জন্য গোটা দেশে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। এমতাবস্থায় এবার হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মায়ানমার সেনার পেজই তুলে নিল ফেসবুক।

অগ্নিগর্ভ মায়ানমার

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মায়ানমারের সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে অহিংস প্রতিবাদের অধিকার সবই কেড়ে নিয়েছে সেনা। এমনকী দেশে যাতে নতুন করে প্রতিবাদের আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তাই দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশও টানা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও থামেনি মানুষের বিক্ষোভ। দিকে দিকে আং সান সুকির মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ।

তীব্র আলোড়ন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে

এমতাবস্থায়, খোদ মায়ানমার সেনার পেজই ফেসবুক থেকে উঠে যাওয়ায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এদিকে মায়ানমার সেনাকে ডাকা হয় Tatmadaw নামে। কিন্তু হিংসাত্মক বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার এবং ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের Tatmadaw True News Information টিমের পেজটিকে এবার সরিয়ে দিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতি জারি ফেসবুকের

এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ দর্শিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতিও জারি করা হয়েছে ফেসবুকের তরফে। বিশ্ব নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ফেসবুকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই পেজ থেকে বারংবার হিংসাত্মক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে, যা তাদের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। হিংসা এবং উস্কানিতে লাগাতার মদত দেওয়াতেই অবশেষে এই কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা।

কোনও উচ্চবাচ্য করেনি মায়ানমার সেনা

যদিও ফেসবুকের তরফে বিবৃতি মিললেও এখনও মায়ানমার সেনার পক্ষ থেকে বিশেষ কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। শনিবারই সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে পথে নামা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ল মায়ানমারের সেনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। তারপর থেকেই মায়ানমারের সামগ্রিক পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়েছে। জধানী নাইপিদাও ও ইয়াঙ্গন-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে গণবিক্ষোভ।

প্রতীকী ছবি

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের 'প্রতীক' বঙ্গবন্ধু, বাংলায় আসবে নতুন ভোর, বললেন মমতা

More MYANMAR News