কলকাতা: মহামারীর প্রভাব যে শুধু আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে পড়েছে তা নয়। এর, ফলে বদলেছে আমাদের সামাজিক জীবনও। মনোবিজ্ঞনীরা বলছেন যে শিশুরা সবথেকে বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় তারা অদ্ভুতভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এই সময়ে সবথেকে বেশি কাছে থেকেছেন মা-বাবারা। তবে শুধু সেই সময়টাই নয়, মহামারীর পরবর্তী সময়তেও তাদেরকে সন্তানদের পাশে থাকতে হবে। তবেই মহামারীর ত্রাস থেকে তারা মানসিকভাবে মুক্ত হবে। শিশুদের সঙ্গে কথা বলার বা তাদের বোঝানোর নানা মাধ্যম থাকে যা মা-বাবাকে রপ্ত করতে হবে। তারা অনেক ক্ষেত্রে লুকিয়ে যায় অনেক কিছু বা বলতে পারে না। তাই তাদের মন পড়তে জানতে হবে।

১. শিশুদের বাইরের জগৎ সম্পর্কে বোধ-বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই তাদেরকে কঠিনতার সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। তারা নিজেরা বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানাতে পারছে তা নজরে রাখতে হবে অভিভাবকদের। তাদের বাস্তবিক জ্ঞান বাড়াতে হবে এবং এমন কিছু দক্ষতা যা তাদের ২০ বছর পর শিখলেও চলবে তা নিয়ে এখন থেকে মাথা ঘামাতে হবে না। শেখার প্রক্রিয়া কোনোদিনই শেষ হয় না। তবে তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ তৈরি করতে হবে যাতে যে কোনো বয়সেই নতুন কিছু জানতে বা শিখতে তারা আগ্রহ দেখায়।

২. তারা নিজেরা নিজেদের করা ভুল থেকে বেশি শেখে। তাই তাদের ভুল করতে দিন। সেখান থেকে তাদেরকে শেখান যে ভুলটি কীভাবে ঠিক করতে পারবে সে। তাদেরকে নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে দেবেন। তবেই তারা বুঝবে তাদের আগ্রহ কোনদিকে।

৩. প্রথাগত শিক্ষার বাইরেও শিক্ষা দেবেন। সৃজনশীলভাবে তৈরি করুন। যে কোনো সমস্যার মোকাবিলায় তারা কিভাবে কী করছে সেটা তাদের উপর ছেড়ে দিতে হবে। তবেই একটা সমস্যাকে নানাভাবে মেটানোর কৌশল খুঁজে পাবে তারা। পরীক্ষার ফল নিয়ে আপনি যেমন টেনশন করবেন না তাকেও মানা করবেন। বরং মানবিক দিক থেকে সে কী শিখছে সেটাই জরুরি। তাদের সঙ্গে সৃজনশীল ভঙিমায় মিশতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে দিতে হবে সন্তানদের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

সিনেমার বড় পর্দা থেকে টেলি পর্দার জগতে কতটা সম্মান পাচ্ছেন মেয়েরা? জানাবেন মিডিয়া টিচার অনুজা বাগচী।