ফতোরদা: এফসি গোয়ার সেমিফাইনালে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার দিনে হতাশা ঘনিয়ে এল বেঙ্গালুরু এফসি শিবিরে। আইএসএলের মঞ্চে প্রথমবার টপ-ফোর ফিনিশে ব্যর্থ হলেন সুনীলরা। রবিবার মাঠে নামার আগে যে ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকু ছিল, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এদিন হারের ফলে সেটাও শেষ হয়ে গেল। সবমিলিয়ে ২০১৭-১৮ মরশুমে থেকে পথ চলা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সেমিফাইনাল খেলবে না বিএফসি। গোয়ার কাছে এদিন ১-২ গোলে হারলেন সুনীলরা।
২০১৭-১৮ মরশুমে আত্মপ্রকাশের পর থেকে আইএসএলে তিনবারই সেমিফাইনালে প্রবেশ করেছে ব্লুজ’রা। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ মরশুমে ফাইনালে এফসি গোয়াকে হারিয়েই খেতাব ঘরে তোলে দক্ষিণের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। অর্থাৎ, তিন মরশুম পর এই প্রথমবার সেমিফাইনালের সুযোগ হাতছাড়া হল সুনীলদের। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে এদিন একটি আইএসএল রেকর্ড স্পর্শ করল এফসি গোয়া। টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত থেকে নিজেদেরই পুরনো একটি রেকর্ড ছুঁল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। আবার চলতি মরশুমে মুম্বই সিটি এফসি’র ঝুলিতেও ১২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার নজির রয়েছে।
শুরু থেকে বল পজেশন দখলে রেখে খেলা শুরু করে গোয়া। ফতোরদা স্টেডিয়ামে ২০ থেকে ২৩ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে এগিয়ে যায় তারা। যার প্রথমটি আসে ইগর আঙ্গুলোর পা থেকে। বিপক্ষ বক্সের কাছাকছি এরিক পারতালুর পা থেকে বল স্ন্যাচ করে তা আঙ্গুলোর জন্য বাড়িয়ে দেন বাগান ফেরৎ গ্লেন মার্টিন্স। আর সেই বল ধরে বক্সে প্রবেশ করে বাঁ-পায়ের শট জালে রাখেন গোয়ার স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। প্রথম গোলের ঘা শুকোতে না শুকোতেই দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে বেঙ্গালুরু।
২৩ মিনিটে ডানপ্রান্তিক একটি ক্রস থেকে বেঙ্গালুরুর জঘন্য ডিফেন্সিভ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে গোল করে যান রিদিম ল্যাং। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে কিছুই করার ছিল না বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক গুরপ্রীতের। যদিও জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়া বেঙ্গালুরু মিনিট দশেকের মধ্যে ম্যাচে ফেরে। এক্ষেত্রে গোয়া ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে সুরেশ ওয়াংজমের উদ্দেশ্যে ঠিকানা লেখা থ্রু বাড়ান ক্লেইটন সিলভা। সেই বল ধরে প্রথমে বক্সে প্রবেশ করেন সুরেশ। এরপর দুরহ কোন থেকে ডানপায়ের শটে তা জালে রাখেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে উপভোগ্য ম্যাচ হলেও গোলের দেখা আর মেলেনি। গোয়ার কাছে সুযোগ বেশি এলেও একাধিক ক্ষেত্রে গুরপ্রীত ঢাল হয়ে দাঁড়ান। যার মধ্যে একটি গোললাইন সেভও করেন তিনি। অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সুযোগ এলেও তা থেকে সমতা ফেরাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। সবমিলিয়ে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে গোয়া। তবে ১৯ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে থাকলেও গোয়ার টপ-ফোর এখনও নিশ্চিত নয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.